দেবরাজ হালদার
কাঠ ফাটা রোদ্দুর তার মধ্যে চলছে হোমিওপ্যাথি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাকটিকেল পরীক্ষা। বারান্দার মধ্যে দম বন্ধ করা পরিস্থিতির মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল মেট্রোপলিটন হোমিওপ্যাথি কলেজ কর্তৃপক্ষ। যার ফলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে একাধিক পরীক্ষার্থী।
শনিবার পরীক্ষা চলাকালীন কলেজ কর্তৃপক্ষের এই ব্যবস্থাপনা কে ঘিরে তীব্র চঞ্চল্য তৈরি হয় শিয়ালদা চত্বরে। অস্বাস্থ্যকর দম বন্ধ করা পরিবেশের জন্য দায়ী কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযোগ পরীক্ষার্থীদের। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করে। পরীক্ষার প্যানিক থেকেই পরীক্ষার্থীদের একাংশ অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনরকম ভাবে দায়ী নয়। শিয়ালদা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিপিনবিহারী গাঙ্গুলী স্ট্রীটে রয়েছে মেট্রোপলিটন হোমিওপ্যাথি এই কলেজ।
জানা যায় এই কলেজে চারটি জেলার পরীক্ষাদের আজ যোগা এবং ন্যাচরপ্যাথি পরীক্ষা ছিল, সকাল দশটা থেকে। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৮০ এর মধ্যে কুড়ি জনকে রোদ্দুরের মধ্যে ছাদে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য ডেকে তাদের পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়। বাকি ৬০ জনকে নিচের বারান্দায় অপেক্ষা করতে বলা হয় বলে ছাত্র-ছাত্রীরা অভিযোগ করে।
তীব্র গরমের মধ্যেই স্বল্প পরিসর জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে অসুস্থ হয়ে যান পাঁচজন পরীক্ষার্থী। কলেজের মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের চোখে মুখে জল দেওয়া হলেও বেশ কয়েকজন বমি করতে থাকেন। তাদের মধ্যে দুজন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে যান বলে ছাত্র-ছাত্রীরা দাবি করেন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়।
তীব্র গরমের মধ্যে কেন প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা ব্যবস্থা করা হলেও কেন ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা ছিল না। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করে পরীক্ষার প্যানিকের জন্য ছাত্রছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।