কুস্তি জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত অধ্যায়ে এ বার নয়া মোড়। দেশের কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন প্রধান তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পকসো মামলা বন্ধই হয়ে গেল। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার গুরুতর অভিযোগে তাঁকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন এক নাবালিকা কুস্তিগীর। এ বার সেই মামলায় স্বস্তি মিলল ব্রিজভূষণের।
এ দিনের রায়ে দিল্লির এক আদালত জানায়, দিল্লি পুলিশ একটি ‘ক্লোজার রিপোর্ট’ জমা দিয়েছে। ওই রিপোর্টে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও সুনির্দিষ্ট, বিশ্বাসযোগ্য ও প্রমাণযোগ্য তথ্য মেলেনি। মামলাকারিণী নাবালিকা কুস্তিগীর ও তাঁর বাবা বিচারকের সামনেই আগের বক্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান। তাই সব দিক বিচার করে মামলাটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় আদালত। তার ফলে এই মামলায় আইনি টানাপড়েন থেকে আপাতত মুক্তি পেলেন বিজেপি নেতা ব্রিজভূষণ।
শুরু থেকেই ব্রিজভূষণ তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। তাঁর কথায়, “এই সমস্ত অভিযোগ আমাকে রাজনৈতিক ভাবে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র মাত্র।” তিনি বার বার দাবি করেছেন, কোনওদিন কোনও মহিলা কুস্তিগীরকে তিনি অসম্মান করেননি, বরং তাঁদের উদ্যমী করে তুলছেন দেশের জন্য পদক অর্জন করতে।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি হয় ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে দেশের সেরা মহিলা কুস্তিগিরদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ ঘিরে। মহিলা কুস্তিগীররা একজোট হয়ে দিল্লির রাজপথে নেমে প্রতিবাদে সামিল হন। মাটিতে বসে প্রতিবাদ করেন অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগীররাও। “ন্যায় চাই, বিচার চাই”—দাবিতে উত্তাল হয়েছিল রাজধানী। কিন্তু সেই মামলা সোমবার বন্ধই করে দিল আদালত।
তবে, পকসো মামলা বন্ধ হলেও, আরও একটি মামলা বাকি। মহিলা কুস্তিগিরদের করা যৌন হেনস্থার মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া এখনও চলছে। ফলে ব্রিজভূষণের জন্য লড়াই যে এখনও শেষ নয়। এই রায় হয়তো ব্রিজভূষণের জন্য সাময়িক স্বস্তির। দ্বিতীয় মামলার শুনানির অপেক্ষায় কুস্তিগিররা।
