রাজ্য রাজনীতির অভ্যন্তরে ফের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন দিলীপ ঘোষ। শমীক ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে রাজ্য বিজেপির নতুন পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকেই দলের সংগঠন গোছাতে কেন্দ্রের কড়া নজর। ঠিক এমন সময়েই দিলীপ ঘোষের দিল্লি সফর নতুন ইঙ্গিত দিচ্ছে।
দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রের খবর, দিলীপ ঘোষকে ফের গুরুত্বপূর্ণ কোনও সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্যে দলীয় সংগঠনের ভিত আরও মজবুত করতে চান শীর্ষ নেতারা। সেই লক্ষ্যেই পুরনো এবং অভিজ্ঞ নেতাদের একত্রিত করে একটি কার্যকর টিম গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে। দিলীপ ঘোষ হতে পারেন সেই পরিকল্পনার অন্যতম মুখ।
জাজবাত বাংলায় আরও পড়ুন
দীর্ঘদিন রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদে থেকে দিলীপ ঘোষ রাজনীতির ময়দানে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছিলেন। তবে নেতৃত্বে বদলের পর তাঁকে কিছুটা কোণঠাসা অবস্থানে দেখা যাচ্ছিল। মাঝেমধ্যে বিতর্কিত মন্তব্য ও রাজনৈতিক অভিমান প্রকাশ পেলেও দল থেকে সরেননি তিনি। বরং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন।
এদিন দিল্লি রওনা হওয়ার আগে সল্টলেকে রাজ্য দফতরে নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন দিলীপ। তারপরেই তাঁর দিল্লি যাওয়া ঘিরে দলের অন্দরমহলে চর্চা আরও জোরদার হয়েছে। যদিও দিলীপ ঘোষ স্পষ্ট করে কিছু বলেননি, তবে রাজনৈতিক মহলের অনুমান, রাজ্য রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে নতুন করে ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন
দলের একাংশের মতে, দিলীপ ঘোষের অভিজ্ঞতা ও মাঠে সক্রিয় থাকার ক্ষমতা ২০২৬-এর ভোটের আগে দলকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। আবার অনেকে বলছেন, রাজ্য বিজেপির চলমান গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের মধ্যে দিলীপ ঘোষকে ফের ময়দানে নামিয়ে ঐক্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টাও হতে পারে।
বিজেপির ভিতরে পুরনো বনাম নতুনের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পর থেকেই রাজ্য ইউনিটে মতভেদ স্পষ্ট। সেই প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের পুনরাবর্তন, কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের পথে বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
