ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস (WCL) নিয়ে এ বার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেলল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এর আগে পিসিবির তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে আগামী দিনে আর কখনওই কোনও প্রাইভেট লিগে দেশের নাম ব্যবহার করা যাবে না। আর এ বার প্রতিযোগিতা শেষ হতেই তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, বুড়োদের বিশ্বকাপে আর কখনওই অংশ নেবে না পাকিস্তান।
গোটা বিষয়টির জন্য ভারতকেই দায়ী করেছেন পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর পাকিস্তানকে বয়কটের পথে হেঁটেছে ভারত। সেই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস প্রতিযোগিতায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নামতে চাননি শিখর ধাওয়ান, হরভজন সিংরা। গ্রুপ পর্বের পর সেমিফাইনালেও অনড় ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা। যদিও ভারত সেমিফাইনাল বয়কট করায় সরাসরি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু গ্রুপ লিগের ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগির বিষয়টি কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান।
গ্রুপ লিগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে না চেয়ে আয়োজকদের একটি চিঠি লিখেছিলেন শিখর ধাওয়ান। এরপর ম্যাচ থেকে একে একে সরে দাঁড়ান সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, পাঠানভাইরাও। ফলে বাধ্য হয়েই ম্যাচটি বাতিল করতে হয়েছিল কর্তৃপক্ষকে। এরপর দুই দলকেই দেওয়া হয় ১ পয়েন্ট করে। আর এখানেই আপত্তি পাক বোর্ডের। এই ঘটনাকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ এবং ‘দুমুখো আচরণ’ আখ্যা দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে এও জানিয়ে দিয়েছে, আর কখনওই এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে না পাকিস্তান।
না খেলেও ভারত কেন পয়েন্ট পাবে? একটি বার্তায় এই প্রশ্ন পিসিবির তরফে বলা হয়েছে, “এই পয়েন্ট দেওয়ার পদ্ধতিটি পুরোপুরি পক্ষপাতদুষ্ট ও দু’মুখো আচরণ। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বোঝাই যাচ্ছে যে, খেলাধুলোর নিরপেক্ষতার বদলে এর মধ্যেও বাইরের প্রভাব রয়েছে। যা কোনও মতেই গ্রহণযোগ্য নয়।” এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে পিসিবি লিখেছে, “খেলাধুলোর সততাকে যেখানে মাথায় রাখা হয় না। বাইরের চাপের কাছে প্রশাসকরা নতিস্বীকার করেন, সেই প্রতিযোগিতায় পিসিবি আর কোনওদিনই খেলবে না।”
বোঝাই যাচ্ছে, মহসিন নকভির নেতৃত্বাধীন পাক বোর্ডের ইঙ্গিত বিসিসিআইয়ের দিকেই। যদিও ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস বস্তুত একটি প্রাইভেট প্রতিযোগিতা। তবু এর ওপর ভারতীয় বোর্ডের প্রভাব আছে বলেই দাবি করছেন নকভি। এ দিকে ভারত সেমিফাইনাল বয়কট করলেও শেষমেশ লাভ কিছু হল না পাকিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্সের কাছে ফাইনালে ৯ উইকেটে হেরে ট্রফি অধরাই থেকে গেল শাহিদ আফ্রিদিদের। ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স।