নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সংসদ চত্বরে ফের ক্ষোভ উগরে দিলেন রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রাহুল অভিযোগ করেন গোটা দেশে ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে। পরিকল্পিতভাবেই এই কাজ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনও বিষয়টা জানে। আগে প্রমাণ ছিল না, কিন্তু এখন তাঁদের কাছে কারচুপির প্রমাণ আছে।
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, তাঁরা সংবিধান বাঁচানোর জন্য লড়াই করছেন। কিন্তু কমিশন তার ‘এক ব্যক্তি এক ভোটের’ দায়িত্ব পালন করছে না।
এরপরই রাহুল বলেন, পিকচার অভি বাকি হ্যায়। অর্থাৎ এখনও অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।
নির্বাচন কমিশন বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনের কাজ শুরু করেছে। কমিশনের এই কাজকে ঘিরেই বিতর্ক। প্রায় নিয়মিত কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। তাঁর অভিযোগ, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে ভোটার তালিকায় ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। বিজেপি ও কমিশন হাতে হাত মিলিয়ে এই কারচুপি করেছে। বিহারে ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনের নামে সেই একই কাজ চলছে।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোট ইতিমধ্যেই ভোটার তালিকায় কারচুপি নিয়ে সরব হয়েছে। তাদের দাবি, স্ক্যান করা ভোটার তালিকা নয়, মেশিন রিডেবল তালিকা প্রকাশ করতে হবে। যাতে সহজেই ভুল ত্রুটি ধরা পড়বে। রাহুলের অভিযোগ, ২০২৪ লোকসভা ভোটে বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ১.০২ লাখ অবৈধ ভোট পড়েছে। একটি ঘরকে ৮০ জন ভোটারের ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতার দাবি মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটেও এভাবেই বিজেপি ও কমিশন হাতে হাত মিলিয়ে ভুরিভুরি কারচুপি করেছে। বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
অন্যদিকে কমিশন বিরোধীদের তোলা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের পাল্টা দাবি, সমস্ত প্রক্রিয়া মেনে স্বচ্ছতার সঙ্গেই ভোটার তালিকায় সংশোধনের কাজ চলছে। বিরোধীরা শুধুমাত্র মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। রাহুল গান্ধীকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কমিশন বলেছে, তিনি যে সমস্ত অভিযোগ করছেন সেগুলো যদি সত্য হয়ে থাকে তবে হলফনামার আকারে পেশ করুন।
বিজেপিও কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসকে। তাদের অভিযোগ, বিহারে জয় হবে না, এটা বুঝতে পেরে আগে থাকতেই পরাজয়ের কারণ খুঁজতে লেগেছে কংগ্রেস। কর্নাটকে তো কংগ্রেস ক্ষমতায় ছিল। তাহলে সেখানে বিজেপি কীভাবে ভোটার তালিকায় কারচুপি করল রাহুল তার জবাব দিন।