এ বছরের আইপিএলে চূড়ান্ত ফ্লপ ২৩.৭৫ কোটির খেলোয়াড় ভেঙ্কটেশ আইয়ার। গোটা মরশুমে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মাত্র ১৪২ রান। এর পরই শুরু হয়েছে জল্পনা। আগামী বছরেও কি ভেঙ্কিকে দলে রেখে দেবে নাইট শিবির? সম্প্রতি একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, আগামী মরশুমে কেকেআর ছেড়ে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলে যোগ দিতে পারেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। আবার এ কথাও হাওয়ায় ভাসছে যে কে এল রাহুলকে আগামী মরশুমে দলে সামিল করতে মরিয়া কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শোনা যাচ্ছে, রাহুলকে পেতে আইয়ারকে ছেড়ে দিতে পারে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। অবশেষে একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই সংক্রান্ত বিষয়ে নীরবতা ভাঙলেন ভেঙ্কি স্বয়ংই। আগামী মরশুমে সত্যিই কি নাইট শিবির ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিতে চলেছেন তিনি? এই প্রশ্নের জবাবে জানান, “এই বিষয়ে আমার কোনও ধারণাই নেই। কেকেআর ম্যানেজমেন্টও এ বিষয়ে কিছু জানায়নি এখনও পর্যন্ত।”
ভেঙ্কটেশের বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট, গোটা বিষয়টিই এখনও পর্যন্ত ধোঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। ফলে জবাব স্বয়ং ২৩.৭৫ কোটির ক্রিকেটারের কাছেও নেই। উল্লেখ্য, নিলামের মঞ্চে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সঙ্গে রীতিমত লড়াই করে ভেঙ্কটেশকে দলে শামিল করেছিল কেকেআর। কিন্তু প্রতিযোগিতায় নিজের অর্থমূল্যের প্রতি সুবিচার করতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ ভেঙ্কি। যে কারণে সামাজিক মাধ্যমে কার্যত বয়ে যাচ্ছে বিদ্রূপের ঝড়। নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও স্পষ্ট জবাব দিলেও এই বিদ্রূপের জবাব দিয়েছেন আইয়ার। সেই সঙ্গে এও জানিয়েছেন, আইপিএল চলাকালীন কী ভাবে এই সমস্ত বিদ্রূপ বা সমালোচনার মোকাবেলা করেছেন তিনি।
ভেঙ্কি বলেন, “এই প্রশ্নগুলি যারা তুলেছিলেন তারা আমার কন্ট্যাক্ট লিস্টে নেই। তা হলে তারা কী ভাবছে সে কথা আমাকে কেন ভাবতে হবে? এটা আমার জীবন। আমার খেলা। আমার কেরিয়ার। আর আমার দলই আমার উপর এত খরচ করেছে। তাই এই জিনিসগুলো আমাকে প্রভাবিত করে না।” আরও যোগ করেছেন, “দেখুন, যে ছেলেটি কেবল আইপিএল ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিল, তার জন্য ২০ লক্ষ টাকাও মাঝে মাঝে অনেক বড় অঙ্কের মনে হত। আর বছরের পর বছর ধরে, আমি এটাই শিখেছি। শুধু আমি কেন? সমস্ত ক্রিকেটারই এটা শিখেছে। তোমার উপর অনেকের নজর আছে, তবে কীসে মনোযোগ দিতে হবে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। যারা আমার জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে, আমি কেবল তাদের কাছেই জবাবদিহি করতে বাধ্য।”