জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্টওয়ারে পুণ্যার্থীদের সুরক্ষার কাজে নিযুক্ত ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ান সঞ্জয় মূর্মু। কিন্তু গত ১৪ অগস্ট মেঘভাঙা বৃষ্টিতে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বহু মানুষ। যার মধ্যে ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ান সঞ্জয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের কিস্তওয়ারে অন্যতম দর্শনীয় তীর্থস্থান চণ্ডী মন্দির। ওই মন্দিরে প্রতিদিন বহু ভক্তের ভিড় হয়। তাঁদের সুরক্ষার কাছেই নিযুক্ত ছিলেন সিআইএসএফ জওয়ানরা। শুক্রবার সেখানে মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে ধস নামে। তাতেই নিখোঁজ হয়ে যান সিআইএসএফ জওয়ান সঞ্জয় মুর্মু ও বহু পুণ্যার্থী। ঘটনার দুই দিন পর ১৬ অগস্ট উদ্ধার হয় সঞ্জয়ের দেহ।
মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডের গিরিডির ধরমপুর গ্রামে এসে পৌঁছয় জাতীয় পতাকায় মোড়া সঞ্জয়ের দেহ। সঞ্জয়ের দেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছতেই কান্নার রোল ওঠে। এই বীর সন্তানকে দেখতে ভিড় করেন হাজার হাজার মানুষ। সকলের হাতেই ছিল জাতীয় পতাকা। সঞ্জয়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। ছেলের মৃত্যুর খবরে নির্বাক হয়ে গিয়েছেন সঞ্জয়ের মা ও বাবা। স্বামীর মৃতদেহ দেখে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন সঞ্জয়ের স্ত্রী । সকলের মুখে ছিল স্লোগান, ভারত মাতা কি জয়। সঞ্জয় অমর রহে।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে সিআইএসএফে চাকরি পেয়েছিলেন সঞ্জয়। ছোট থেকেই তাঁর স্বপ্ন ছিল দেশ রক্ষার কাজে যোগ দেবেন। শেষ পর্যন্ত দেশবাসীকে রক্ষা করতে গিয়েই প্রাণ গেল সঞ্জয়ের। দুই বছর আগে বিয়েও করেছিলেন তিনি। এদিন শেষকৃত্যের আগে সিআইএসএফ জওয়ানরা সঞ্জয়কে গার্ড অফ অনার দেন। সঞ্জয়ের সহকর্মীদের অনেককেই চোখের জল মুছতে দেখা গিয়েছে। গোটা গিরিড ও জেলাজুড়ে ছিল এক শোকের আবহ। সহকর্মী জওয়ানরাই ফুলে ঢাকা সঞ্জয়ের দেহ শেষকৃত্যের জন্য শ্মশানে নিয়ে যান।
Leave a comment
Leave a comment
