পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আমেরিকার ডেপুটি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন ফিনার। এক সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “পাকিস্তানের এই কার্যকলাপ আমেরিকার জন্য ক্রমবর্ধমান হুমকি হয়ে উঠছে।”
হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, পাকিস্তান এমন ব্যালিস্টিক মিসাইল তৈরি করছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে এমনকি আমেরিকাকেও আঘাত করতে সক্ষম।
এই প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর পাকিস্তানের ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কমপ্লেক্স (এনডিসি) সহ তিনটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তাদের ‘গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সরবরাহকারী’ আখ্যা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্কিন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা যাবে এবং আমেরিকানরা তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসা করতে পারবেন না।
মার্কিন এক ফ্যাক্টশিটে বলা হয়েছে, এনডিসি পাকিস্তানের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সরঞ্জামের জন্য উপাদান সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। শাহিন সিরিজের মতো পরমাণু অস্ত্রবাহী মিসাইল এই কর্মসূচির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই পদক্ষেপকে “দুর্ভাগ্যজনক ও পক্ষপাতদুষ্ট” বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, আমেরিকার এই সিদ্ধান্ত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের প্রায় ১৭০টি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি পাকিস্তান চিনের কাছ থেকে পারমাণবিক অস্ত্র সংগ্রহের চেষ্টাও শুরু করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মিসাইল কর্মসূচি নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে আমেরিকা। আন্তর্জাতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলছে।
