ভারতের উপর অন্যায্যভাবে বিপুল শুল্ক চাপানোর পর নানা জায়গায় নানা প্রশ্নের মুখে পড়ছে আমেরিকা। আর এই সব প্রশ্নের জেরে বারবার সাফাই দেওয়ার পথে হাঁটতে হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে। এর আগে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট ভারতের উপর কেন এত ট্যারিফ চাপানো হয়েছে তার যুক্তি হাজির করেছিলেন। এবার আসরে নামলেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স।
রবিবার এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’-এ একান্ত সাক্ষাৎকারে জেডি ভ্যান্স বলেন যে রাশিয়াকে ইউক্রেন-যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করার উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘আক্রমণাত্মক অর্থনৈতিক চাপ’ প্রয়োগ করেছিলেন, যার মধ্যে ভারতের ওপর গৃহীত দ্বিতীয় স্তরের শুল্কও ছিল। মার্কিন যুক্তি, ভারতের এই আমদানি পরোক্ষভাবে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানকে অর্থ জোগাচ্ছে। ভাবনা ছিল ভারতের ওপর দ্বিতীয় স্তরের শুল্ক চাপালে তারা মস্কো থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে। যদিও দিল্লি বারবার জানিয়েছে, রাশিয়ার তেল কেনা সম্পূর্ণ ‘জাতীয় স্বার্থ ও বাজারের বাস্তবতার’ উপর নির্ভরশীল। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমী দেশগুলো যখন রুশ তেল কেনা বন্ধ করে দেয়, তখনই নয়াদিল্লি কম মূল্যে রুশ তেল আমদানি শুরু করে।
শনিবার ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমেরিকা ও ইউরোপকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ভারতের পণ্য আমদানিতে শুল্ক চাপানোর ক্ষেত্রে পশ্চিমী দুনিয়ার কোনও যুক্তির ভিত্তি নেই। তিনি জানান, যারা নিজেদের ব্যবসামুখী সরকার বলে দাবি করেন, তারাই আবার অন্যদের ব্যবসা করা নিয়ে অভিযোগ তুলছেন। পাশাপাশি যেখানে ‘সর্বোত্তম চুক্তি’ মিলবে সেখান থেকেই তেল কেনার কথা জানিয়ে দিয়েছে দিল্লি। রাশিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার জানিয়েছেন, “যেখান থেকে সেরা দামে পাওয়া যাবে সেখান থেকেই তেল কিনবে ভারত।” রবিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা তাস-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে একথা জানান তিনি।