ভারত যদি রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি কমাতে না পারে, তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক শিথিল করবেন না। এমন সতর্কবার্তা দিলেন ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তথা হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের ডিরেক্টর কেভিন হাসেট। তিনি বলেন, ভারত-মার্কিন বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতি “জটিল”। এর জন্য তিনি ভারতের নিজস্ব বাজার খুলতে অনীহাকেই দায়ী করেছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বুধবার ভারতীয় পণ্যের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক বসিয়েছে, যা ব্রাজিল ছাড়া অন্য কোনও দেশের জন্য সর্বোচ্চ। এর মধ্যে রাশিয়ান ক্রুড অয়েল কেনার কারণে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্কও রয়েছে।
হাসেট বলেন, “যদি ভারত একচুলও না সরে, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও সরবেন না।” তিনি দাবি করেন, আলোচনার একটি বড় অংশই রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের সঙ্গে জড়িত, যাতে শান্তিচুক্তি সম্ভব হয়।
যদিও বাণিজ্য আলোচনাকে ম্যারাথনের সঙ্গে তুলনা করে হাসেট বলেন, “চূড়ান্ত অবস্থানে পৌঁছনোর আগে উত্থান-পতন থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে হবে।”
তাঁর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্টের গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, ভারতের ওপর উচ্চ শুল্ক শুধু রাশিয়ান তেল আমদানির কারণে নয়, দীর্ঘায়িত বাণিজ্য আলোচনার কারণেও। “আমরা ভেবেছিলাম মে-জুনের মধ্যেই চুক্তি হবে, কিন্তু ভারত বারবার বিলম্ব করেছে,” বলেন বেসেন্ট।
অন্যদিকে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, মার্কিন চাপের মুখে নতিস্বীকার করবে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “দেশের কৃষকদের স্বার্থে কখনও আপস করব না।”
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, নতুন শুল্কের প্রভাবে প্রায় ৪৮.২ বিলিয়ন ডলারের ভারতীয় রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যদিও প্রাথমিক ধাক্কা সীমিত, তবে এর ঢেউ চাকরিক্ষেত্র ও আর্থিক বৃদ্ধি শ্লথ হওয়ার মতো চ্যালেঞ্জ ডেকে আনতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।