দিল্লি-এনসিআর এলাকায় রাতভর প্রবল বর্ষণের পর যমুনা নদীর জলস্তর বিপজ্জনক সীমা অতিক্রম করেছে। এর ফলে রাজধানী ও আশপাশের একাধিক এলাকায় জল ঢুকে পড়েছে বাড়িঘরে। একইসঙ্গে দিল্লি-গুরগাঁও সীমান্তে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে যমুনা বিপদসীমা অতিক্রম করায় প্রশাসন ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা জারি করেছে। গতকালই নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
জলস্তর বৃদ্ধির কারণে সোমবার যমুনানগরের হাথনিকুণ্ড ব্যারাজের গেট খোলা হয়েছে। ফলে দিল্লি সংলগ্ন যমুনার জলস্তর আরও বাড়বে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে কয়েকটি জেলায় মঙ্গলবার স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গুরগাঁওয়ে প্রবল বৃষ্টির পর দিল্লি-জয়পুর হাইওয়েতে গতকাল প্রায় ৭-৮ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট হয়েছিল। মানুষকে ৩ ঘণ্টারও বেশি সময় আটকে থাকতে হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে হরিয়ানা সরকার সব ফিল্ড অফিসারকে সদর দফতরে উপস্থিত থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কঠোর নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে।
দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ) মঙ্গলবার বিকেল ৫টা থেকে ওল্ড রেলওয়ে ব্রিজে যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
বন্যা-আশঙ্কার মধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “যমুনার তীরবর্তী এলাকায় জল ঢোকা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, কারণ এটি নদীর পরিবেশগত ব্যবস্থার অংশ। দুর্গতদের উদ্ধারে প্রশাসন যাবতীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।”
রাজধানীতে জল জমে যাওয়া ও কম দৃশ্যমানতার কারণে বিমান পরিষেবাতেও ব্যাঘাত ঘটছে। বিভিন্ন এয়ারলাইনস সংস্থা যাত্রীদের জন্য বিশেষ ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী ২–৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দিল্লিতে মেঘলা আকাশের পাশাপাশি প্রতিদিন হালকা বৃষ্টি এবং কোথাও কোথাও বজ্রপাতসহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।