ক্রমেই জাতীয় নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত সময়কালের দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। ঘোষণা না হলেও আগামী ফেব্রুয়ারিতে সেই নির্বাচন হতে পারে। এদিকে এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। কিন্তু যত নির্বাচনের সময় এগিয়ে আসছে ততই যেন সক্রিয়তা বাড়ছে আওয়ামী লীগ ও তার অন্যান্য সংগঠনের।প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী বাংলাদেশের ঢাকার বাংলামোটর ও গুলশান এলাকায় শুক্রবার মিছিল করার সময় হাসিনার দলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবারও মিরপুর ও দারুস সালাম এলাকায় মিছিল করায় গ্রেফতার করা হয় কয়েক জন নেতা ও কর্মীকে।
সময় নিউজ প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে জানায়, ঢাকায় বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারের সামনে থেকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের দিকে মিছিল করে যাওয়ার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ও কর্মী। ‘শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ এমন বিভিন্ন স্লোগানও দেওয়া হচ্ছিল সেই সময়। পরে এই মিছিল থেকে একটি মোটর সাইকেল সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়, বেলা সোয়া তিনটে থেকে চারটের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্যরা রাজধানীর গুলশানে ঝটিকা মিছিল বের করেন। সেখান থেকে পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। আগের দিন বৃহস্পতিবার মিরপুর ও দারুস সালাম এলাকায় ঝটিকা মিছিল করার সময় আওয়ামী লীগ ও তার সংগঠনের ১৮ জন নেতা ও কর্মীকে অ্যারেস্ট করা হয়।
এদিকে লন্ডনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা হামলার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।খবরে প্রকাশ লন্ডনের ব্লুমসবারি এলাকায় স্কুল অব আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজ (সোয়াস) ক্যাম্পাসে এক সেমিনারের আয়োজন হয়েছিল। যৌথভাবে এই আয়োজনটি করেছিল বাংলাদেশ হাইকমিশন। অভিযোগ সেখানেই সেমিনার থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা করা হয়।এভাবেই নির্বাচন এগিয়ে আসতেই বিভিন্ন জায়গায় শেখ হাসিনার দলের এভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠায় কপালে ভাঁজ পড়ছে ইউনুস প্রশাসনের।