কাজাখস্তানে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ হয়েছে। বাকু থেকে গ্রজনি যাচ্ছিল আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান, যা আখতাউ বিমানবন্দরের কাছে মাটিতে আছড়ে পড়ে। ঘটনার পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিয়োগুলিতে দেখা যায়, বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিশাল অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
বিমানটি থেকে এখনও পর্যন্ত ২৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে একজন ১১ বছরের মেয়ে এবং ১৬ বছরের কিশোর রয়েছে। তাদের মধ্যে ২১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে দু’টি সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। একটি রিপোর্ট বলছে, বিমানের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লেগে এটি বিপর্যস্ত হয়। অন্য রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রযুক্তিগত ত্রুটি থেকেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিমানের দুই পাইলট এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিমানটি আকাশে ঘুরপাক খাওয়ার পর আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশাল আগুনের শিখা দূর থেকে দৃশ্যমান হয়। বেশিরভাগ যাত্রী, যারা বিমানের পিছনের দিকে ছিলেন, তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তবে বাকি যাত্রীদের ভাগ্যে কী ঘটেছে, তা এখনও অজানা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভকে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন এবং দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিমান দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে। উদ্ধারকাজ এখনও চালানো হচ্ছে, তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
