ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। হায়দরাবাদের সিদ্ধার্থ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, ২২ বছর বয়সী যাদব সাই তেজার নিথর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে কলেজ হস্টেলে তারই ঘর থেকে। পুলিশ জানিয়েছে, সাই তেজা সম্ভবত র্যাগিং এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলেন। তাতেই এই সিদ্ধান্ত।
সাইয়ের পরিবারের আইনজীবীর অভিযোগ, কলেজের সিনিয়ররা সাই তেজাকে একটি বারে নিয়ে গিয়ে জোর করে মদ পান করানোর পাশাপাশি প্রায় ১০,০০০ টাকা বিল পরিশোধ করতে বাধ্য করেছিল। অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সাই তেজা শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন।
আত্মহত্যার আগে সাই তেজা একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করেন, যেখানে তিনি আতঙ্কিত এবং ভীত হয়ে বলছিলেন, “আমি কলেজে যাচ্ছিলাম। চার বা পাঁচজন লোক এসে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তারা টাকা চাইছে।”
তিনি আরও বলেন, “তারা আমাকে মারছে, আমি খুব ভয় পাচ্ছি। তারা বারবার টাকা চাইছে, আমাকে মারছে। আমি কী করব? আমি মরতে যাচ্ছি। আমাকে বাঁচান।” ভিডিয়োতে দেখা যায়, সাই তেজা অত্যন্ত আতঙ্কিত এবং সঙ্কটের মধ্যে ছিলেন।
সাই তেজার পরিবার ও আইনজীবী রাতভর ৩০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে হায়দরাবাদের সিদ্ধার্থ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হস্টেলে পৌঁছন। স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যুর নেপথ্যে র্যাগিং দায়ী নাকি আত্মহত্যা সংক্রান্ত অন্য কোনও কারণ রয়েছে, সবটাই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অভিযোগের পূর্ণ তদন্ত শুরু হয়েছে।