সম্প্রতি রজত শর্মার জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘আপ কি আদালতে’ হাজির হলেন বলিউড তারকা অক্ষয় কুমার। আর সেখানেই তিনি জানালেন এক চমকপ্রদ কাহিনি। সেই কাহিনির সঙ্গে জড়িয়ে গেল বলিউড অভিনেতা আমির খানের নাম। অক্ষয় কুমার এবং টুইঙ্কল খান্নার বিয়ের নেপথ্যে নাকি আমির খান? ঠিক কী ঘটেছিল জানেন?
ববি দেওলের বিপরীতে ‘বরসাত’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল টুইঙ্কল খান্নার। শুরু থেকেই অভিনয়ে দীর্ঘ সময় থাকতে চাননি। তাই পরে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর কোনও আফসোস ছিল না। ১৯৯৯ সালে টুইঙ্কল যখন আমির খানের সঙ্গে ধর্মেশ দর্শনের মেলা সিনেমায় কাজ করেন, তখন অনেকেই ভেবেছিলেন ছবিটি সুপারহিট হবে। কিন্তু সেই সময় টুইঙ্কল অক্ষয়কে একটি শর্ত দিয়ে বসেন। তিনি বলেন, “মেলা যদি ফ্লপ হয়, তবেই তোমাকে বিয়ে করব।”
অক্ষয় কুমার স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, “আমরা তখন প্রেম করছিলাম। আমি টুইঙ্কলকে বললাম, চল বিয়ে করে ফেলি। কিন্তু সে রাজি হচ্ছিল না। তখন শর্ত দিল, ‘মেলা’ যদি না চলে, তাহলে বিয়ে করব। সবাই ভেবেছিল ছবিটি চলবেই, কারণ সেটি আমির খান সাহাবের ছবি, আর ধর্মেশ দর্শন ছিলেন পরিচালক। কিন্তু ভাগ্যের লিখন অন্য ছিল। দুঃখিত আমির খান সাহাব, আপনার সিনেমাটি চলেনি। তবে আমি বিয়ে করতে পেরেছি আপনার জন্য।”
অক্ষয় আরও জানান, বিয়ের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দু’জনেই আলাদা শ্যুটিং করছিলেন। শ্যুটিং শেষ হওয়ার পরই বন্ধুদের বাড়ির ছাদে একান্ত অনুষ্ঠানে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
অক্ষয় জানালেন, টুইঙ্কল আর তিনি বিভিন্ন দিক থেকে একেবারেই আলাদা। অভিনেতার কথায়, “ও বাঁদিকে ভাবে, আমি ডানদিকে ভাবি। আমরা একেবারেই ভিন্ন। তবে একটি বড় মিল আছে। আমরা দু’জনেই তাড়াতাড়ি ঘুমোতে আর ভোরে উঠতে ভালোবাসি। আর সিনেমা দেখতে ভালো লাগে। পার্টি, বাইরে ঘোরা আমাদের কারোরই পছন্দ নয়। ফলে ধীরে ধীরে অনেক জায়গায় মিল তৈরি হয়েছে। আমাদের জীবনে হয়তো মাত্র ২০ শতাংশ মিল আছে, কিন্তু সেটাই এত শক্তিশালী যে ৮০ শতাংশ অমিলকে ঢেকে দেয়”।
সত্যিই, ভাগ্য আর অমিলের মধ্যেই খুঁজে নিয়েছেন মিল। আর তার জেরেই বলিউডের এই তারকা দম্পতির সুখী দাম্পত্য আজও টিকে আছে।