শুধুমাত্র রাশিয়া থেকে তেল কেনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেমন ভারতকে ভিলেন বানিয়ে দিয়েছেন, ঠিক তার উল্টোপথেই হাঁটলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইউরোপ-ভারত সম্পর্ক জোরদার করার ডাক দিয়ে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, “ভারত আমাদের সঙ্গেই আছে”।
রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দীর্ঘ ভাষণেও ট্রাম্প দাবি করেছেন যে ভারত ও চিন তেল কিনে রাশিয়াকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অর্থ দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, “আমি মনে করি ভারত মূলত আমাদের পক্ষে। জ্বালানি নিয়ে কিছু প্রশ্ন থাকলেও আমি বিশ্বাস করি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এগুলো সামলে নিতে পারবেন।”
তবে ভারতকে কাছে রাখার পথও তুলে ধরেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ভারতের অবস্থান যাতে রাশিয়ার পক্ষে না চলে যায়, সেজন্য ইউরোপ ও ভারতের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। জেলেনস্কির আশা, ভারত একদিন রাশিয়ার জ্বালানি নিয়ে তার অবস্থান বদল করবে।
কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কি। তখনই তিনি বলেন যে কিয়েভ আশা করছে ভারত যুদ্ধ শেষ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। তবে ভারত যে যুদ্ধ চায় না সেকথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প না বুঝলেও গত ২৮ আগস্ট হোয়াইট হাউস উপদেষ্টা পিটার নাভারো বলেছিলেন যে শান্তির পথ আংশিকভাবে নয়াদিল্লির মধ্য দিয়েই যায়। যার মূল অর্থ এখানে শান্তি ফেরানোটা অনেকটাই নয়াদিল্লির উপর নির্ভরশীল।
রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতের ব্যাখ্যা, মস্কোর সঙ্গে দিল্লির তেল ব্যবসা কোনও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে না। উল্টে নয়াদিল্লি পশ্চিমি দেশগুলির ভন্ডামির কথা তুলে ধরে দেখিয়েছে যে ইইউ ও আমেরিকা এখনও রুশ পণ্য কিনছে বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে। ভারত জানিয়েছে, যে কোনও বড় অর্থনীতির মতোই তারা জাতীয় স্বার্থ ও আর্থিক নিরাপত্তা রক্ষাকে আগে গুরুত্ব দেবে।