সোনম ওয়াংচুকের আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হলো। গ্রেফতার হলেন লাদাখের পরিবেশ কর্মী। লেহ-তে শান্তিপূর্ণ বন্ধ ভেঙে হিংসাত্মক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু ও ৭০ জনের বেশি আহত হওয়ার কয়েকদিন পর, লাদাখের পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুককে শুক্রবার ‘জাতীয় নিরাপত্তা আইন’-এর আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযোগ, তিনি পূর্ণরাজ্যের মর্যাদার দাবিতে বিক্ষোভকারীদের উস্কানি দিয়েছিলেন এবং হিংসাত্মক ঘটনায় প্ররোচনা দিয়েছিলেন। তবে তাঁকে জেলবন্দি করা হবে নাকি অজানা গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ওয়াংচুক ‘আরব বসন্ত’ ও নেপালের জেন-জেড আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে বিক্ষোভকারীদের উত্তেজিত করেন, যার জেরে স্থানীয় বিজেপি কার্যালয় ও কয়েকটি সরকারি গাড়িতে আগুন ধরানো হয়।
২৪ সেপ্টেম্বর সকালে তাঁর অনশন মঞ্চ থেকে মিছিল বেরিয়ে রাজনৈতিক দল ও লেহ্ নির্বাচনী দপ্তরের কার্যালয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
এরপরেই লেহ্-এ কারফিউ জারি করা হয়। ওয়াংচুকের নিজস্ব এনজিও-র বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত এফসিআরএ লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে একাধিক আইনি লঙ্ঘনের অভিযোগে।
তবে কেন্দ্রিয় সরকার দাবি করেছে যে, লাদাখের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে একাধিক দাবি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বেশ কিছু অগ্রগতি হয়েছে। তফসিলি উপজাতির আসন সংরক্ষণ ৪৫% থেকে বাড়িয়ে ৮৪% করা হয়েছে। স্থানীয় পরিষদে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ আসন সংরক্ষণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভোটি ও পুরগি ভাষা সরকারি মর্যাদা পেয়েছে। ওই অঞ্চলে প্রায় ১,৮০০ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তবে ওয়াংচুক তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাঁকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। তাঁর কথায়,
“এভাবে সমস্যার মূল থেকে দৃষ্টি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মানুষ ইতিমধ্যেই হতাশ, তাই এসময় প্রজ্ঞার প্রয়োজন, কৌশল নয়।”
উল্লেখ্য, ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ওয়াংচুক অনির্দিষ্টকালের অনশন ধর্মঘট শুরু করেছিলেন, যেখানে তাঁর দাবি ছিল লাদাখের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা ও ষষ্ঠ তফসিলের অন্তর্ভুক্তি।