
লক্ষ্মী পুজোর গভীর রাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কোনুয়ার ভবানীপুরে জাতীয় সড়কের ধারে বেপরোয়া স্করপিওর ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ সাহার। গুরুতর আহত হয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখর সাহা, শশাঙ্ক সাহা সহ আরও দুজন। এই ঘটনায় স্থানীয় বিপদ মন্ডল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেল মৃতের স্ত্রী। বিপদের সঙ্গে আগে থেকেই বিবাদ ছিল নরেন্দ্রনাথের। অভিযুক্ত আত্মসমর্পণ করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। এবার খুনের মামলা রুজু পুলিশের।
কংগ্রেস নেতা নরেন্দ্রনাথ সাহা(৪২), (অ্যাডভোকেট, শিক্ষা ও স্থায়ী কর্মাধ্যক্ষ হরিশচন্দ্রপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতি) ৬ অক্টোবর রাত প্রায় ১২:৩০ নাগাদ ইসাদপুর নিজবাড়ির সামনে রাস্তায় ৫ জন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন। তখন বিপদ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি স্করপিও গাড়িতে করে নরেন্দ্রনাথ সাহা সহ তাঁর ৫ বন্ধুর উপরে একাধিকবার গাড়ি চালিয়ে দেয়। নরেন্দ্র নাথ সাহা ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং অন্যান্যরা বিভিন্ন হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন। হরিশ্চন্দ্রপুরের প্রাক্তন বিধায়ক, পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি মোস্তাক আলম একথা জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পুরনো এক বিষয় নিয়ে নরেন্দ্রনাথ সাহার সঙ্গে এলাকার কংগ্রেস কর্মী বিপদ মন্ডলের প্রথমে বচসা ও গন্ডগোল হয়। এই গন্ডগোলের পর নরেন্দ্রনাথ সাহা সহ বেশ কয়েকজন মিলে দুটি বাইক নিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।অভিযোগ ওই সময় হঠাৎ করেই বিপদ মন্ডল একটি স্করপিও গাড়ি নিয়ে এসে তাদের সজোরে ধাক্কা মারে বলে অভিযোগ। এর জেরে ঘটনাস্থলেই পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নরেন্দ্রনাথ সাহার মৃত্যু হয় বলে খবর। এছাড়াও আরও ৪জন গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। আহতরা বর্তমানে মালদা, রায়গঞ্জ এবং শিলিগুড়ির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনায় মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পুরনো শত্রুতার জেরেই পরিকল্পনা করে এই খুন করা হয়েছে। তাই তারা ঘটনায় অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি চান। এদিকে এই ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত বিপদ মন্ডল হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে বলে খবর।
মৃত কংগ্রেস নেতা স্ত্রী জানিয়েছেন,’ অনেক রাতে স্বামী বেরিয়ে গেল। এরপর বাইরে ঝামেলা হয়। বিপদ ছিল গাড়ির ড্রাইভার। আমার স্বামীকে খুন করেছে। আমার স্বামী গরীব মানুষের জন্য কাজ করত।’