
উত্তরবঙ্গের বন্যা ও ভূমিধস পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বুধবার দার্জিলিঙে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে তিনি জানান, এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে দার্জিলিঙে ২১, জলপাইগুড়িতে ৯ এবং কোচবিহারে ২ জন। মৃতদের পরিবারের হাতে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ও এক জনকে স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মানবসৃষ্ট কারণেও উত্তরবঙ্গ বারবার বিপর্যস্ত হচ্ছে। তিনি জানান, ডিভিসি-র জলছাড়া ও ভুটানের বাঁধ থেকে নেমে আসা জল এই বিপর্যয় বাড়িয়েছে। রাজ্যের চাপের মুখে কেন্দ্র আগামী ১৬ অক্টোবর ভুটান ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে জলপ্রবাহ সংক্রান্ত বৈঠক ডাকেছে।
দুর্যোগে দার্জিলিং জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, বিশেষত মিরিক ও রোহিণী এলাকায়। সেখানে রাস্তা মেরামতের কাজ চলছে, যা শেষ হতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে। ইতিমধ্যেই ৩৭টি ত্রাণশিবিরে ২০ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে, এখনও প্রায় ৬ হাজার মানুষ শিবিরে রয়েছেন। দুর্গত পরিবারগুলিকে খাবার, প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও হারানো নথিপত্রের প্রতিলিপি দেওয়া হচ্ছে।
মমতা জানান, রাজ্য সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলার কাজ চালাচ্ছে। কেন্দ্রের কাছ থেকে আবাস যোজনা, ১০০ দিনের কাজ, জলস্বপ্নসহ একাধিক প্রকল্পের অর্থ না এলেও রাজ্য একাই পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি প্রশাসনকে দ্রুত রাস্তা, সেতু ও জলনিকাশ ব্যবস্থার মেরামত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন, যাতে আগামী দিনে এমন বিপর্যয় পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
