
উত্তরবঙ্গে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা। দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার কনভয়ে শনিবার সন্ধ্যায় হামলার অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রিম্ভিক ও লোধামা এলাকায় বিপর্যস্ত অঞ্চল পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা পরপর পাথর ও ইট ছোড়ে বলে জানা গেছে। ঘটনায় গাড়ির কাচ ভেঙে গেলেও সাংসদ অক্ষত আছেন।
সূত্রের খবর, রাজু বিস্তা এলাকায় ত্রাণ ও ক্ষয়ক্ষতির খোঁজখবর নিয়ে ফেরার সময় হঠাৎই স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী তাঁর কনভয় ঘিরে ধরে। মুহূর্তে বৃষ্টির মতো ইট-পাথর পড়তে থাকে গাড়িগুলির ওপর। যদিও তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে আঘাত লাগেনি, তবে পিছনের গাড়িগুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত না হলেও এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
এই হামলার পেছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, পাহাড়ে শান্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ চালানো হয়েছে। রাজু বিস্তার অভিযোগ, কেন্দ্রের গোর্খাল্যান্ড মধ্যস্থতাকারী নিয়োগের সিদ্ধান্তের পর থেকেই উত্তেজনা তৈরি করা হচ্ছে।
ঘটনার পর জোরবাংলো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদ রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও হামলার কড়া নিন্দা জানিয়েছেন। তাঁর মতে, সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কদের ওপর একাধিক হামলা রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতার প্রমাণ।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই মালদহের সাংসদ খগেন মুর্মু ত্রাণ বিতরণের সময় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার রাজু বিস্তার ওপর আক্রমণ ঘিরে ফের উত্তাল উত্তরবঙ্গের রাজনীতি। পাহাড়ে স্থায়ী শান্তির দাবি যেমন জোরালো হচ্ছে, তেমনি রাজনৈতিক সংঘাতের আঁচও ক্রমে বাড়ছে।
