
রাজ্যে শুরু হয়েছে স্পেশাল সামারি রিভিশন বা এসআইআর প্রক্রিয়া, আর সেই নিয়েই চরম অসন্তোষ ছড়িয়েছে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের মধ্যে। শনিবার নজরুল মঞ্চে চূড়ান্ত প্রশিক্ষণের সময় অনেক বিএলও অভিযোগ তোলেন, তাঁদের স্কুলে গরহাজির দেখানো হচ্ছে, অথচ নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে তাঁরা এই সময় অন ডিউটিতে রয়েছেন। এর ফলে শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের মধ্যে বিরক্তি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি, নির্বাচন কমিশনের কাছে পর্যাপ্ত কর্মী নেই এই বিশাল দায়িত্ব পালনের জন্য। তাই স্কুলশিক্ষকদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে জোর করে। কর্মীদের সাসপেন্ড করার ভয় দেখানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক বলে অভিযোগ। সংগঠন জানিয়েছে, এসআইআরের সময় মাঠে কাজ করা কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতিটি জেলায় হেল্প ডেস্ক চালু রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৮৫ শতাংশ এনুমারেশন ফর্ম ইতিমধ্যেই ছাপা হয়ে গেছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ হবে। ২৯৪ জন ইআরও, তিন হাজারেরও বেশি এইআরও, জেলার ডিইও এবং এডিএমদের নিয়ে বড় বৈঠকও হয়েছে। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল জানিয়েছেন, পুরো প্রক্রিয়ায় শৃঙ্খলা বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
তবে বিএলওদের বক্তব্য, মাটির পরিস্থিতি বিহারের মতো নয়। বাংলায় জনসংখ্যা ঘন, নিরাপত্তা ঝুঁকি বেশি, তাই মাঠপর্যায়ে কাজ করা কঠিন হচ্ছে। তাঁরা আশঙ্কা করছেন, প্রশাসনিক চাপ ও নিরাপত্তাহীনতায় অনেকেই দায়িত্ব থেকে সরে আসতে পারেন। অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশও জানিয়েছে, নিরাপত্তা রক্ষায় বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে।
সর্বোপরি, রাজ্যে এসআইআর পর্ব ঘিরে সরকারি কর্মীদের মধ্যে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, তা প্রশাসনের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে।
