সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি মন্তব্য করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিল্পী বয়কট ইস্যুতে দলীয় মতবিরোধ এবং কুণাল ঘোষ-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ব্রাত্য অকপটে স্বীকার করলেন, “দলে এখন দু’ধরনের মত চলছে।”ব্রাত্য বলেন, “আমাদের দল রেজিমেন্টেড নয়। এখানে খোলামেলা পরিবেশ রয়েছে। তাই কেউ কারও বিষয়ে বক্তব্য রাখতেই পারেন।” কুণাল ঘোষের শিল্পী বয়কটের ডাক এবং অভিষেকের পাল্টা মন্তব্য নিয়ে ব্রাত্যের বক্তব্য, “দলে অভিষেকের স্থান আমার থেকে অনেক উঁচুতে। তাই অভিষেক বা কুণাল, কে সঠিক, তা আমি বলতে পারব না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতই আমার মত। তিনিই শেষ কথা।”
শিল্পীদের সমালোচনা প্রসঙ্গে ব্রাত্য কড়া ভাষায় বলেন, “আমার পরিচালিত দল মোদী সরকারের থেকে কোনও অনুদান নেয়নি। যারা মমতার বিরোধিতা করেছিলেন, তাদেরই ঠিক করতে হবে—রাজ্যের অনুগ্রহ নেবেন কি না। বিরোধিতা করেও সুবিধা নেওয়া দু’টো একসঙ্গে সম্ভব নয়।”কুণাল ঘোষ এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্রাত্যর সম্পর্কের প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা যায়, লোকসভা ভোটের আগে অভিষেক দলের কাজ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সময় কুণালের সঙ্গে ব্রাত্যও তাঁকে বোঝাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সেই সময় অভিষেককে ডায়মন্ড হারবারের দায়িত্বে রাখার পক্ষে ছিলেন ব্রাত্য।
তবে এবার ব্রাত্য কৌশলী অবস্থান নিয়েছেন। সরাসরি অভিষেকের বক্তব্যকে সমর্থন না করে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে মমতার মতই চূড়ান্ত। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ এই মতবিরোধ রাজনৈতিক মহলে চর্চার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।