
রাজ্যের মাটিগড়ায় মহাকালেশ্বর মন্দির নির্মাণের পথে বড় পদক্ষেপ নিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, দার্জিলিঙের ম্যালের মহাকাল মন্দিরের আদলে সমতলেও তৈরি হবে একটি বিশাল মহাকালেশ্বর মন্দির। সোমবারের কেবিনেট বৈঠকে সেই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাশ হয়।
মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, লক্ষ্মী টাউনশিপ এলাকার মোট ২৫.১৫ একর জমি সরকারের দখলে আসবে। এর মধ্যে ১৭.৪১ একর পর্যটন দফতরের অধীনে হস্তান্তর করা হবে। ধাপে ধাপে বাকি অংশও যাবে পর্যটন দফতরে। এই পুরো এলাকা ঘিরেই গড়ে উঠবে বৃহৎ পর্যটন কেন্দ্র। পাশাপাশি ডাবগ্রামে আরও ১০ একর জমিতে তৈরি হবে একটি অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার, যা উত্তরবঙ্গের বাণিজ্য ও পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
মন্ত্রী আরও জানান, এশিয়ান হাইওয়ে–২–এর সুবিধা এবং শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন অঞ্চলের অবস্থান এই প্রকল্পকে আরও শক্তিশালী করবে। সরকারের লক্ষ্য এই বিশেষ অঞ্চলে পর্যটন, বাণিজ্য এবং কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত তৈরি করা।
এদিন পথশ্রী-গ্রামীণ প্রকল্প নিয়েও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। জানানো হয়েছে, মোট ১৫,০১১ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৯,০০০ কিলোমিটার কাজ সম্পূর্ণ। আরও ৫,০১৯ কিলোমিটার রাস্তায় কাজ চলছে। শহরাঞ্চলেও ১১,৩৬৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার বা নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।
‘বাংলা বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়তি বরাদ্দের কথাও জানান মন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়েছে ১২ লক্ষ বাড়ি। জানুয়ারির মধ্যে আরও ১৬ লক্ষেরও বেশি বাড়ি তৈরি হবে বলে আশা।
শিল্পায়নের ক্ষেত্রেও বড় ঘোষণা করেছে সরকার। WBIDTC–র অধীনে রাজ্যে আরও ১০টি নতুন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি হবে কল্যাণী, হাওড়া, বিষ্ণুপুর, ফলতা, কোচবিহারসহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নতুন শিল্প-পরিকাঠামো গড়ে উঠবে। সরকারের দাবি, এই পদক্ষেপ কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা নেবে এবং শিল্প বিনিয়োগ বাড়াবে।
