
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার মন্দির বাজার আজ দুপুর থেকেই যেন অন্য এক মেজাজে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষীকান্তপুর থেকে মন্দিরা বাজার পর্যন্ত রাস্তা ধীরে ধীরে ভরে ওঠে বিজেপি সমর্থকদের ঢলে। পথসভা ও বিক্রম মিছিলে হাজির ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী, আর তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয় চোখে পড়ার মতো প্রশাসনিক প্রস্তুতি। সকাল থেকে এলাকা জুড়ে পুলিশ নজরদারি, ব্যারিকেডিং, এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ছিল কার্যত কড়া নিরাপত্তার ছবিতে মোড়া।
বেলা তিনটের পরেই স্পষ্ট হয়ে যায় আজ মন্দির বাজারে ভিড় হবে রেকর্ড ছুঁইছুঁই। দলীয় পতাকা, ঢাক, বাঁশি আর স্লোগানে ভরে ওঠে চারদিক। বিক্রম মিছিলে সঙ্গী সমর্থকদের নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী এগোতে থাকেন, আর সেই সঙ্গে শোনা যায় তাঁর তীব্র রাজনৈতিক বার্তা। তিনি দাবি করেন, ২০২৬-এর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের আর কোনও আসন থাকবে না রাজ্যে। তাঁর কথায়, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূলকে ছাড়া করে ছাড়তে হবে।” তাঁর এই বার্তায় সমর্থকদের উচ্ছ্বাস আরও বাড়তে দেখা যায়।
তবে রাজনৈতিক রণভূমিতে আজকের এই জনসমুদ্র যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত, তা অস্বীকার করতে পারছে না রাজনৈতিক মহলও। বিশেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য এটি যে ভাবনার বিষয় তা স্পষ্টভাবেই ইঙ্গিত দেন শুভেন্দু অধিকারী নিজেই। এত বিপুল সমাগম কেবল সংগঠনের শক্তি নয়, আসন্ন রাজনৈতিক সমীকরণেও যে প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।
এদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতূহল ছিল তুঙ্গে শুভেন্দুর বক্তব্য ঘিরে, মিছিলের পরিধি ঘিরে, আর ভবিষ্যৎ রাজনীতির ইঙ্গিত ঘিরে। অনেকেই মোবাইলে ভিডিও করে রাখছেন মিছিলের দৃশ্য, পথসভায় মানুষের ভিড়, আর শুভেন্দুর বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত।
সব মিলিয়ে, মন্দির বাজার আজ দেখল রাজনৈতিক তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য উত্থান। নির্বাচন সামনে নয়, তবু রাজ্য রাজনীতির অন্দরে যে সিপিএম থেকে কংগ্রেস, তৃণমূল থেকে বিজেপি সবাই আজকের ছবিটি গভীরভাবে খতিয়ে দেখবে, তা বলাই যায়।
