
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা ঘিরে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি এই নেতার সঙ্গে কোনো স্বাধীন যোগাযোগ না হওয়ায় তাঁর দুই ছেলে কাসিম ও সুলায়মান লন্ডন থেকে বাবার জীবিত থাকার প্রমাণ দাবি করেছেন। পরিবার জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি থাকা সত্ত্বেও কয়েক মাস ধরে ইমরান খানের সঙ্গে কোনো যাচাইযোগ্য সাক্ষাৎ বা বার্তা পাওয়া যায়নি। এতে তাঁর নিরাপত্তা ও শারীরিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে আশঙ্কা আরও গভীর হয়েছে।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্টে বিভিন্ন মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকেই কারাগারে আছেন। তোশাখানা মামলাসহ কূটনৈতিক নথি ফাঁস এবং আল-কাদির ট্রাস্ট সংক্রান্ত অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সাজা ঘোষণা হয়েছে। দলীয় সূত্র বলছে, এসব মামলাকে তাঁরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবে দেখছেন।
ইমরান খানের দলের এক আইনপ্রণেতা জানিয়েছেন, আটক নেতার জীবনহানির আশঙ্কা থাকলেও তিনি বিদেশে যাওয়ার কোনো সমঝোতায় রাজি নন। তাঁর দাবি, খানের ওপর দেশে থেকে রাজনৈতিক নীরবতার বিনিময়ে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তবে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
এদিকে, দলীয় সমর্থকেরা জানাচ্ছেন, উদ্বেগ বাড়লেও ইমরান খানের অবস্থান বা স্বাস্থ্যের বিষয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো সঠিক তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। এতে কারাগারে তাঁর বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে বিভ্রান্তি ও জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।
ইমরান খানের পরিবার বলছে, পরিস্থিতি মানবাধিকার সংকটে পরিণত হয়েছে। তাঁর ছেলেরা দাবি করেছেন, দেশের দায়িত্বরত সংস্থাগুলোর উচিত অবিলম্বে স্বচ্ছ তথ্য প্রকাশ করা এবং পরিবারকে নিয়মিত যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া। দলীয় মহলও মনে করছে, স্বচ্ছতা না থাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে এবং সমর্থকদের মধ্যে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেতে পারে।
