উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে একটি হোটেল থেকে পুলিশ কর্মী সুলতান হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। সুলতান হোসেনের সঙ্গে একটি মহিলাও ওই হোটেলে ছিলেন, যার উপস্থিতি রহস্য আরও ঘনীভূত করেছে। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, সুলতান ওই মহিলার সঙ্গে ইসলামপুরের একটি হোটেলে গিয়েছিলেন এবং একই ঘরে ছিলেন। তবে মহিলার সঙ্গে সুলতানের কী সম্পর্ক, কেন তিনি ওই হোটেলে এসেছিলেন, এসব প্রশ্ন তদন্তকারীদের সামনে রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সুলতানের দেহ যখন উদ্ধার হয়, তখন হোটেলের ঘরের বিছানা অত্যন্ত অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল। পুলিশ এখন চেষ্টা করছে, ঘরে অন্য কেউ ঢুকেছিল কি না তা জানার জন্য। হোটেলের ম্যানেজার এবং কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, মহিলার উপস্থিতি তদন্তকারীদের জন্য আরও বড় ধোঁয়াশা তৈরি করেছে। তাঁকে বার বার জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই মহিলার সঙ্গে সুলতানের সম্পর্ক এবং হোটেলে যাওয়ার উদ্দেশ্য খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে, সুলতান হোসেনের মৃত্যু নিয়ে ইসলামপুরের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। সুলতান চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। তাই তার মৃত্যু রাজনৈতিকভাবে কোনো যোগসূত্রে জড়িত কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে, যাতে ঘটনা পরিষ্কার হতে পারে।
তবে, এই প্রথম নয় যে পুলিশের মৃত্যু নিয়ে রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি, মায়াপুরে দেবাশিস গড়াই নামক এক পুলিশ কর্মীও রহস্যজনকভাবে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়, যদিও এটি নিয়ে অনেক সন্দেহ তৈরি হয়েছে। পুলিশের নানা ঘটনা ও রহস্যজনক মৃত্যুর পর, এবারের বিষয়টি আরও গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে।