সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
“দলই সর্বোত্তম। দলের নির্দেশই শেষ কথা।”
দলনেত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোভাব আঁচ করে নিজের অবস্থান থেকে এভাবেই ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন ভরতপুরের বিদ্রোহী তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
আজ বিধানসভায় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে হাজির হয়ে হুমায়ুন জানিয়ে দিলেন, দল যা বলবে সেই মতোই চলবেন তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোনো মন্তব্য আর করবেন না।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে গত কয়েকদিন ধরে একের পর এক মন্তব্য করে গিয়েছেন হুমায়ূন কবীর। শুভেন্দু অধিকারীকে হুমকি দেওয়া থেকে শুরু করে এমনকি তিনি এটাও বলেন যে তাঁর কাছে দলের থেকেও বড় তাঁর জাতিসত্ত্বা। হুমায়ুনের এইসব মন্তব্যে দল অস্বস্তিতে পড়ে। দলনেত্রীর নির্দেশে শোকজ করা হয় হুমায়ুনকে। তিনি এই সমাজের যে পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন তাতে সন্তুষ্ট হয়নি তৃণমূলের পরিষদীয় শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।
শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তলবে মঙ্গলবার দুপুরে বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে সশরীরে হাজিরা দেন হুমায়ুন কবীর। নিজের স্বপক্ষে যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির পক্ষে তাঁকে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় দল করতে গেলে দলের নীতি আদর্শ মেনে চলতে হবে। সংবিধান মেনে চলতে হবে। তাঁর (ব্যক্তিগত) কোনো বিষয়ে রাগ হতেই পারে, কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ তিনি করতে পারবেন না বা বক্তব্য রাখতে পারবেন না। যদি কিছু বলার থাকে তাহলে দলের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট জায়গায় সেটা জানাতেই পারেন, কিন্তু বাইরে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। বৈঠক শেষে ভরতপুরের বিধায়ক জানান, ” দল তাঁকে যে নির্দেশ দেবে তিনি সেই মতোই চলবেন। তিনি দলের নীতি আদর্শের পরিপন্থী কোনো কাজ করবেন না।”উল্লেখযোগ্য, গত চার মাসে এনিয়ে দ্বিতীয়বার শোকজের মুখে পড়েন হুমায়ুন। দুবারই ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন হুমায়ুন। তবে আগামীতে হুমায়ুন কবীর যে দলের কড়া নজরে তা বলাই বাহুল্য।