বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের গলায় কলকাতার দখলের হুমকির পরেই বাংলাদেশ দখলের হুঁশিয়ারি দিলেন মালদার তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস। বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনা কর্তা কয়েকদিন আগেই চারদিনে কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দেন। বিএনপি নেতা রুহুল রিজভিও ভারতের একাংশ দখলের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি, বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধান কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারেন বলে দাবি করেন। সেই নিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মধ্যে সামনে এল তৃণমূলের সংখ্যালঘু নেতার মন্তব্য।
মুখ্যমন্ত্রীর ললিপপ মন্তব্যের পর তাঁকে কটাক্ষ করেছিলেন রিজভি। সেই প্রসঙ্গে টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস বলেন, “কালকেও আমরা দেখেছি বিএনপি’র লিডার আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করছিলেন। আমি বলতে চাই, আমরা সংখ্যালঘু মুসলিম যাঁরা এখানে আছি, বাংলাদেশের জন্য আমরাই যথেষ্ট। আমি বলছি ১৫ মিনিটের জন্য সীমান্ত খুলে দিন, বাংলাদেশ দখল করে নেব। পুলিশ লাগবে না, কোনও বাহিনীও লাগবে না।”
টিঙ্কুর রহমান বিশ্বাস আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটা ছোট রাষ্ট্র। এর জন্ম দিয়েছিল ভারতবর্ষ। ওদের কয়েক লক্ষ শরণার্থীকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল ভারত সরকার। সেই বাংলাদেশ আজকে তাঁদের জাতির পিতাকে চেনে না। মূর্তি ভাঙে, তাদের থেকে কী আর আশা করা যায়?”
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বে একের পড়া হুশিয়ারির পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেছিলেন, “কেউ কেউ বলছেন, বিহার দখল করবেন, ওড়িশা দখল করবেন…আমি বলি ভাই, ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন। কিন্তু এতটাও হিম্মত আপনার কেন, কারও নেই। যে বাংলা, বিহার, ওড়িশা সব নিয়ে নেবেন, আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব। এটা ভাববার কোনও কারণ নেই। আমরা যথেষ্ট সচেতন নাগরিক।” এরপর বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি বলেন,”আমরা কি আমলকি চুষব?” এভাবেই একের পর এক মন্তব্য পাল্টা মন্তব্যের সরগরম দুই বাংলার সম্পর্ক।