সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে বিপরীত প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে, যেখানে ভারতের রিজার্ভ সামান্য কমেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.২০ বিলিয়ন ডলারে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের দাবি, দেশটির রিজার্ভ ২৪.৭৫ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংকের ঋণের টাকা আসার পর এই রিজার্ভ আরও প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বাড়তে পারে।
বাংলাদেশের তুলনায় ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ অনেক বেশি, তবে তা গত কিছু মাসে কমেছে। ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতের রিজার্ভ ছিল ৬৫৮.০৯ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশের রিজার্ভের ৩৪ গুণ। সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের রিজার্ভ সর্বকালীন সর্বোচ্চ ছিল ৭০৪.৮৯ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু তার পর থেকে তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। নভেম্বর মাসে ভারত বিদেশী মুদ্রার রিজার্ভের মধ্যে ৫৬৮.৮৫ বিলিয়ন ডলার ফরেন কারেন্সি অ্যাসেট হিসাবে রাখে, সঙ্গে সোনার রিজার্ভও ছিল ৬৬.৯৭৯ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে, পাকিস্তানের অবস্থান তুলনামূলকভাবে আরও শোচনীয়। পাকিস্তান স্টেট ব্যাঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ মাত্র ১২.০৫ বিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশ এবং ভারত উভয়ের থেকে অনেক কম।
বাংলাদেশের রিজার্ভ বর্তমানে ১৮.৪৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়ে রয়েছে। গত এক মাসে রেমিট্যান্স ও রফতানির কারণে রিজার্ভে কিছুটা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে, যার ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কিছুটা শক্তিশালী হয়েছে। তবে, বাংলাদেশের মোট ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ ১৪ বিলিয়ন ডলার, যা তিন মাসের আমদানি খরচের তুলনায় এখনও সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে।