গতকাল লোকসভায় পেশ হয়েছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী দুটি বিল। এদিন বিল পেশের সময় বিরোধী সাংসদরা ডিভিশন বা ভোটাভুটির দাবি তোলেন। এই আবহে বিজেপি সব সাংসদকে উপস্থিত থাকার জন্য হুইপ জারি করেছিল। তবে, সেই হুইপ সত্ত্বেও বিজেপির ২০ জন সাংসদ লোকসভায় উপস্থিত ছিলেন না। এই অনুপস্থিতির কারণে গেরুয়া শিবির এই সাংসদদের নোটিশ পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, বিল পেশের সময় অনুপস্থিত বিজেপি সাংসদদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতীন গড়কড়ি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এবং গিরিরাজ সিংয়ের নাম রয়েছে। বিজেপি এই সাংসদদের কাছ থেকে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ পাঠাতে পারে। তবে, প্রশ্ন উঠছে যে, এসব সাংসদরা অনুপস্থিত থাকার ব্যাপারটি দলকে আগে থেকে জানিয়েছিলেন কি না। দিল্লির রাজনৈতিক মহলে এই নোটিশ জারি নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।
গতকালই আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল লোকসভায় ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধনী (একশত উনবিংশ সংশোধনী) বিল, ২০২৪ এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন সংশোধন বিল, ২০২৪ পেশ করেন। এই বিল পেশের পর কংগ্রেস, তৃণমূল, এবং সমাজবাদী পার্টি বিরোধিতা করতে শুরু করে। বিরোধীরা ডিভিশনের দাবি তোলেন, এবং স্পিকার সেই দাবি মেনে ভোটাভুটি গ্রহণ করেন। ২৬৯ জন সাংসদ বিল পেশের পক্ষে ভোট দেন, বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৯৮টি।
এই বিলগুলি পেশ হওয়ার পর, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল প্রস্তাব করেন যে সেগুলি যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো উচিত। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিলগুলিকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।