আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। বোর্ডের মত অনুযায়ী, এক জনের পক্ষেই এই ভয়ঙ্কর অপরাধ ঘটানো সম্ভব। নির্যাতিতার ময়না তদন্তের ভিত্তিতে এই মতামত সিবিআইয়ের কাছে পাঠানো হয়েছে।
রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে ভোঁতা কোনও বস্তু প্রবেশ করানো হয়ে থাকতে পারে, যা নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া মনে করিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডেও একই ধরনের পৈশাচিক অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছিল।
মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ডটি গঠন করা হয়েছিল দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের ১১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে নিয়ে। ফরেন্সিক, স্ত্রীরোগ, অস্থি ও চক্ষু বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই বোর্ডটি ময়না তদন্ত রিপোর্ট এবং সিএফএসএল রিপোর্টের ভিত্তিতে চারটি বৈঠক করে। গত ২১ সেপ্টেম্বর তারা তাদের পর্যবেক্ষণ সিবিআইয়ের কাছে জমা দেয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, সেমিনার রুমে ধর্ষণ ও খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। সিএফএসএল-এর ১২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়েছে, সেমিনার রুমে অপরাধ সংঘটিত হওয়া অত্যন্ত সন্দেহজনক। মৃতদেহ যেখানে পাওয়া গিয়েছিল, সেই ম্যাট্রেসেও কোনও ধস্তাধস্তির চিহ্ন মেলেনি।
গত ৯ অগস্ট আরজি করের চতুর্থ তলার সেমিনার রুম থেকে চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তবে ঘটনা সেখানেই ঘটেছে কি না, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। আন্দোলনরত চিকিৎসকরা বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট তদন্ত দাবি করেছেন। রিপোর্টের তথ্য সামনে আসার পরই নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এখন দেখার, সিবিআই-এর তদন্তে সত্য উদঘাটিত হয় কি না।