২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে গ্রামীণ বাংলার প্রতিটি বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে জোর তৎপরতা শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে নবান্নে সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রকল্পের কাজে গতি আনার জন্য বিভিন্ন দফতর থেকে প্রকৌশলীদের ডেপুটেশনে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যেই কেএমডিএ থেকে আটজন ইঞ্জিনিয়ারকে ৬ মাসের জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে বদলি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে চারজন সিভিল, দুইজন ইলেকট্রিক্যাল এবং দুইজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে, জল সরবরাহ প্রকল্পের পাম্পিং স্টেশনগুলির পরিস্থিতি পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং পাইপ সংযোগ সঠিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
২০২৪ সালেই বেশ কিছু গ্রামে পাইপলাইনের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তবে এখনো অনেক কাজ বাকি রয়েছে। গরমকালের আগেই এই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিয়ে কাজ জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “গ্রামবাংলার কোনও মানুষ জলসংকটে ভুগবেন না। প্রকল্পটি শেষ হলে জল টানার কষ্ট থেকে মুক্তি পাবেন গ্রামবাসীরা।”
তবে প্রকল্পের কাজের ধীরগতির অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তিনি কেন্দ্রীয় স্তরে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শেষ করতে হবে। ‘জলস্বপ্ন’ প্রকল্প সফল হলে এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি মাস্টারস্ট্রোক হিসেবে পরিচিতি পাবে।