উত্তরবঙ্গের সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সীমান্তে বাংলাদেশি সেনার গতিবিধি ও অস্থায়ী ক্যাম্পের সংখ্যা বেড়েছে। বিশেষত, চিকেন নেক সংলগ্ন এলাকায় বিজিবির গুলির আওয়াজে রাতে ঘুমাতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।
উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলিতে এই পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। বাংলাদেশের রাজবাড়ি জেলার চাঁদমারি সেনা ক্যাম্পে চলমান যুদ্ধ-মহড়া আতঙ্কের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, বিস্ফোরণের বিকট শব্দে তাদের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ও তার সংলগ্ন চৈনগর, মালন, কৈলাডাঙ্গি, সনগাঁও-সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন যে, বিজিবির আড়ালে বাংলাদেশি সেনা সীমান্তে অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করছে। এসব ক্যাম্প থেকে রাতে গুলির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে, যা সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষের মনে নিরাপত্তাহীনতার বীজ বুনছে।
দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তেও একই রকম পরিস্থিতি। কৃষিকাজে নিয়োজিত সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন গুলির আওয়াজে চাষাবাদে ঝুঁকি অনুভব করছেন। সীমান্তের ওপারের মানুষও একই ভয় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তারা। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, ১৯৭১ সালের মতো সীমান্তে অতিরিক্ত সুবিধা নিয়ে হামলার চেষ্টা হতে পারে। বিশেষত, হিলি সীমান্ত অঞ্চল আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এখনও তেমন প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে সীমান্তবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তে দুই দেশের সামরিক তৎপরতার কারণে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।