সোমবার, বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে এক ব্যক্তি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঘটনাটি ঘটার সময় স্টেশনে যথেষ্ট ভিড় ছিল। তবুও এমন দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি, যা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার জেরে ব্লু লাইনে (দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ) মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। আপ লাইনে দক্ষিণেশ্বরগামী একটি ট্রেনের সামনে ওই ব্যক্তি ঝাঁপ দেন। এরপর দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাঁকে লাইন থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। তবে উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ময়দান থেকে গিরিশ পার্ক পর্যন্ত আপ এবং ডাউন দুই লাইনেই পরিষেবা বন্ধ থাকে।
মেট্রো চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় অসংখ্য যাত্রী চরম ভোগান্তির শিকার হন। কর্মব্যস্ত সপ্তাহের প্রথম দিনে এমন ঘটনা যাত্রীদের অসন্তোষ বাড়িয়ে তোলে। অফিসযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের যাত্রা কার্যত থমকে যায়।
মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে এই ধরনের ঘটনা রোধে সিসিটিভি নজরদারি এবং সুরক্ষাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কার্যকর পদক্ষেপ করা সম্ভব হয়নি। কয়েকটি স্টেশনে গার্ডরেল বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপ কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাকেশ কুমার জানান, “চাঁদনি চক স্টেশনে একজন লাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাঁকে উদ্ধারের কাজ চলছে। আপাতত মেট্রো পরিষেবা আংশিকভাবে চালু রয়েছে।”
প্রতিনিয়ত এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন যাত্রীরা।