আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। গুমের অভিযোগে অভিযুক্ত এই মামলায় প্রসিকিউশনের আবেদনের ভিত্তিতে পরোয়ানাটি জারি করা হয়েছে। শেখ হাসিনার একাধিক উপদেষ্টা এবং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মাধ্যমে গুমের ঘটনাগুলিতে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
গুম তদন্তে সরকারের গঠিত কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাসিনার শাসনামলে সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ গুম হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫৮টি অভিযোগের তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। কমিশন দাবি করেছে, এই গুমের ঘটনায় ভারতের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে। বাংলাদেশি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিককে ভারতে বন্দি অবস্থায় পাওয়া গেছে।
তদন্ত কমিশন দু’টি নির্দিষ্ট ঘটনার উল্লেখ করেছে। প্রথমটি, সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে সুরঞ্জন বালির অপহরণ এবং পরে তাঁকে ভারতের জেলে পাওয়া যায়। দ্বিতীয় ঘটনা বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের, যিনি অপহরণের পর ভারতে উদ্ধার হন। কমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দেশের সীমানার বাইরে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়। তাই বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গুম হওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, হাসিনার সরকার এবং ভারত উভয়ই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবুও, এই রিপোর্ট ঘিরে দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি আশঙ্কা
গুমের অভিযোগে ভারতের নাম উঠে আসার ফলে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।