ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামের মূল সংস্থা মেটা সম্প্রতি তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং কর্মসূচি বন্ধ করার ঘোষণা করেছে, যা তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে পরিচালিত হত। আপাতত শুধুমাত্র আমেরিকায় এই কর্মসূচি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রক্রিয়ার পরিবর্তে ‘কমিউনিটি নোট’ নামে একটি মডেল চালু করা হবে, যা ইলন মাস্কের মালিকাধীন এক্সের পদ্ধতির আদলে কাজ করবে।
মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার জোয়েল কাপলান জানিয়েছেন, কোনও বিভ্রান্তিকর পোস্টের ক্ষেত্রে কমিউনিটি নোট যুক্ত করা হবে। তাদের মতে, তৃতীয় পক্ষের তথ্য যাচাইকারীদের পক্ষপাতিত্বের কারণে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রক্রিয়া ভুল পথে যাচ্ছিল। ফলে, পুরনো পদ্ধতি বাতিল করে প্ল্যাটফর্মের আরও কিছু বিধিনিষেধ শিথিল করার পরিকল্পনা করেছে মেটা।
তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক প্রভাবিত। আগামী ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করতে চলেছেন। ট্রাম্প এবং ডানপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে ফ্যাক্ট-চেকিংকে তাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক বলে অভিযোগ করে আসছেন। মেটার এই সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের মন জয় করার কৌশল বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।বিশেষজ্ঞদের তীব্র সমালোচনা এ বিষয়ে প্রকাশ পেয়েছে। উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মাইকেল ওয়েগনার বলেন, “ভুয়ো তথ্য রোধে দায়িত্বশীল ব্যবস্থা নেওয়ার পরিবর্তে মেটা এখন যে কারও উপর নির্ভর করছে, যা নীতিগতভাবে ভুল।”
তবে মেটার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্ক। এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি সত্যিই নতুন পদ্ধতির প্রয়াস, তা সময়ই বলবে।