গাজা যুদ্ধবিরতি ঘিরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারে সংকট তীব্রতর। জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইটামার বেন গভির যুদ্ধবিরতির বিরোধিতা করে সরকারের সঙ্গ ত্যাগের হুমকি দিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ শর্ত দিয়েছেন, বন্দি মুক্তি না হলে তিনি সমর্থন প্রত্যাহার করবেন। এই দুই নেতার সমর্থন হারালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবেন নেতানিয়াহু।
এদিকে গাজায় বন্দি ইজরায়েলিদের পরিবার যুদ্ধবিরতির দ্রুত কার্যকর করার দাবি তুলেছে। নেতানিয়াহু বিষয়টি নিয়ে ক্যাবিনেট ভোটাভুটি স্থগিত রেখেছেন। এদিকে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আমার শপথগ্রহণের আগে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়া উচিত।’
গাজায় ইজরায়েলি সেনার হামলা অব্যাহত থাকায় নতুন করে ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন। দোহায় দীর্ঘ আলোচনার পর ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। ১৯ জানুয়ারি থেকে ৬ সপ্তাহের জন্য এই চুক্তি কার্যকর হতে পারে।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই পক্ষ বন্দি বিনিময় করবে। হামাস অপহৃতদের মুক্তি দেবে এবং গাজা থেকে ইজরায়েল সেনা সরিয়ে নেবে। পাশাপাশি, ত্রাণ অভিযানে বাধা দেবে না ইজরায়েল। তবে এখনও হামাসের হাতে প্রায় ১০০ জন বন্দি রয়েছেন, যাঁদের মধ্যে কিছুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা।
জেরুসালেমে যুদ্ধবিরতির বিরোধিতায় প্রতিবাদ দেখা দিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তিন জন গ্রেফতার হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর ভবিষ্যৎ এবং গাজার মানবিক সংকট, দুই-ই ঝুঁকির মুখে।