মালদার কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী হাসান শেখ খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জাকির শেখকে গ্রেফতার করল পুলিশ। শুক্রবার রাতে কালিয়াচক থানার পুলিশ কাশিমনগরের একটি বাড়ি থেকে জাকিরকে আটক করে। জাকিরকে ধরতে স্নিফার ডগ ও ড্রোন ব্যবহার করে জালুয়াবাথান, মোজামপুর, যদুপুর, এবং কাশিমনগর এলাকায় তল্লাশি চালানো হয়।
১৪ জানুয়ারি কালিয়াচকের নওদা যদুপুরের দাড়িয়াপুর মোমিনপাড়া এলাকায় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ এবং তাঁর অনুগামীদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেই ঘটনায় নৃশংসভাবে খুন হন তৃণমূল কর্মী হাসান শেখ। বকুল শেখ ও তাঁর ভাই এসারুদ্দিনও গুরুতর আহত হন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।
পুলিশ জানিয়েছে, জাকির শেখ তৃণমূল ব্লক সভাপতির ঘনিষ্ঠ এবং ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছে, জাকির বা অন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে দলের কোনো যোগ নেই।
এ ঘটনার আগে আমির হামজা নামে আরেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। হামজাও তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, এই হামলায় আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে এবং তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত।
প্রসঙ্গত, হাসান শেখ খুনের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ১৪ জানুয়ারি কালিয়াচক-১ ব্লকের সালেপুর নয়াবস্তি এলাকায় রাস্তা ও নিকাশির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গিয়েছিলেন বকুল শেখ। সেই সময় হামলাকারীরা ইট এবং লাঠি দিয়ে হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে। প্রথমে অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে গুলি চলেছিল, তবে পুলিশ দাবি করেছে ঘটনাস্থলে গুলি চলার প্রমাণ মেলেনি।
এর আগে, মালদার ইংরেজবাজারে তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুন হওয়ার মাত্র ১২ দিনের মাথায় হাসান খুন হন। টানা দুটি ঘটনায় মালদার আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েও জোর চর্চা চলছে। ঘটনার পর রাজ্য পুলিশের ডিজি মালদা পরিদর্শন করেন।
পুলিশের দাবি, কালিয়াচক কাণ্ডে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে বিশেষ তৎপরতা নেওয়া হয়েছে।