১৬ জানুয়ারি টেক্সাসের বোকা চিকা থেকে উৎক্ষেপণ করা স্পেসএক্সের স্টারশিপ রকেট মাঝ আকাশে ভেঙে পড়েছে। এই ঘটনার পরে ইলন মাস্ক নিজেই রকেট ভেঙে পড়ার কারণ জানিয়ে বলেন, “রকেটের অক্সিজেন বা জ্বালানি ট্যাঙ্কে লিক ছিল, যা অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছিল এবং রকেটটির সক্ষমতার বাইরে চলে যায়।”
উৎক্ষেপণের সময় রকেটটি প্রথম পর্যায়ের সুপার হেভি বুস্টার থেকে আলাদা হওয়ার পর ৮ মিনিটের মধ্যে মিশন কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। স্পেসএক্সের কমিউনিকেশন ম্যানেজার ড্যান হুট জানিয়েছেন, “আপার স্টেজে সমস্যা থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।”
স্পেসএক্সের সপ্তম পরীক্ষামূলক মিশন হিসেবে এটি পরিচালিত হয়। লঞ্চের সময় সুপার হেভি বুস্টারটি সঠিকভাবে লঞ্চপ্যাডে ফিরে আসলেও স্টারশিপ রকেটটি মহাকাশে ধ্বংস হয়ে যায়। রকেটটির ধ্বংসাবশেষ মাটির দিকে উল্কার মতো ধেয়ে আসতে দেখা যায়। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। মাস্ক নিজেও ভিডিও শেয়ার করে মজার ছলে লিখেছেন, “সাফল্য নিশ্চিত নয়, তবে বিনোদন নিশ্চিত।”
মাস্কের দাবি, লিক প্রতিরোধে পরবর্তী রকেট পরীক্ষা আরও কঠোরভাবে পরিচালিত হবে। ফায়ার সাপ্রেশন এবং ভেন্ট সিস্টেম উন্নত করার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তবে আগামী উৎক্ষেপণ পেছানোর কোনো পরিকল্পনা নেই।
স্টারশিপ রকেট প্রজেক্টের লক্ষ্য মানুষের জন্য অন্য গ্রহে বসতি স্থাপন করা। এই রকেট ১০০ জন নভোশ্চর বা ১০০ টন ওজনের সরঞ্জাম বহন করতে পারে।
এদিকে, স্পেসএক্স দ্বিতীয়বারের মতো বুস্টার ক্যাচ সম্পন্ন করেছে, যা তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার প্রমাণ। বুস্টারটি লঞ্চপ্যাডে নিখুঁতভাবে ধরতে সক্ষম হয়। এর আগে বুস্টার সমুদ্রে অবতরণ করানো হতো।
স্পেসএক্সের এই সাফল্য ও ব্যর্থতা ভবিষ্যতের মহাকাশ অভিযানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।