বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে উত্তেজনা চরমে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সম্প্রতি বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। গতকালের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল জানান, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের জনগণের মঙ্গলের কথা ভাবে। এই ইতিবাচক মনোভাবই আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি।
উল্লেখ্য, মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি সম্প্রতি বলেছিলেন, আমেরিকা ও ভারত উভয়ই বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চায়। তিনি আরও জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র বজায় রাখতে আমরা একমত।এদিকে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারের প্রসঙ্গেও তিনি তীব্র নিন্দা জানান।
বাংলাদেশের সাংবিধানিক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। অধ্যাপক আলি রিয়াজের নেতৃত্বে কমিশন সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ্য উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কাছে সংবিধান সংস্কারের প্রস্তাব পেশ করেছে। এতে নির্বাচনী ব্যবস্থার একাধিক সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, সংস্কার সম্পন্ন হতে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। সংস্কার শেষ হলেই নির্বাচন হবে।
এই পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষ থেকে রণধীর জয়সওয়ালের মন্তব্য প্রমাণ করে, বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে দিল্লি ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। তবে কবে নির্বাচন হবে, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তার মেঘ কাটেনি।