শরীরকে ডিটক্স করা খুবই জরুরি। আমাদের কেবল বাইরে থেকে নয়, ভিতরে থেকেও শরীরকে ডিটক্স করা উচিত। ডিটক্সের অর্থ শরীরকে টক্সিন থেকে দূরে রাখা এবং পুষ্টি দিয়ে সমৃদ্ধ করে তোলা।ডিটক্স মানব শরীরের রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। এর অর্থ রক্ত পরিশোধন করে। এটি লিভারে জমে থাকা খারাপ পদার্থ অপসারণ করে। আপনি যদি খুব ক্লান্ত বোধ করেন, জয়েন্টে ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা, মাথাব্যথা, ফোলাভাব, গ্যাস ইত্যাদি থাকে তাহলে বুঝে নিন এটি ডিটক্স করার সঠিক সময়। আসুন জেনে নিই কিভাবে আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে আপনার শরীরকে ডিটক্স করতে পারেন।
শরীর পুষ্টিকর খাবার পেলে ভিতর থেকে অটোমেটিক ডিটক্স হয়ে যায়। আপনার জৈব এবং প্রাকৃতিক জিনিস খাওয়া উচিত। টক্সিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদি আপনার খাবারে খুব বেশি তেল এবং ঝাল মশলা ব্যবহার করা হয়, তাহলে কিছু সময়ের জন্য এই জাতীয় খাবার থেকে বিরতি নিন। বিশুদ্ধ খাবার খান, এতে করে শরীর স্বাভাবিকভাবেই ডিটক্স হয়ে যায়।
আপনি যদি প্রাকৃতিকভাবে আপনার শরীরকে ডিটক্স করতে চান, তবে প্রচুর পরিমাণে জল পান করা একটি ভালো উপায়। আপনি যত বেশি জল পান করবেন, তত বেশি টক্সিন শরীর থেকে প্রস্রাবের আকারে নির্গত হবে। ভালো ফলাফল দেখতে আপনার প্রতিদিন ৫ থেকে ৬লিটার জল পান করা উচিত। এতে আপনার শরীরে জমে থাকা ময়লা বেরিয়ে আসে এবং শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। ওজন কমানোর জন্য এটি একটি বেশ ভালো উপায়।
আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু খাই যার ফলে শরীরে টক্সিন জমতে থাকে। শরীরকে ডিটক্স করতে কিছু সময় উপবাস রাখার চেষ্টা করুন। দু-একদিন ভারী খাবার না খেয়ে খুব হালকা খাবার খেতে হবে। এ সময় ফল ও সবজি খেতে পারেন। এতে আপনি সারাদিন শুধু হালকা বোধ করবেন না, আপনার পাকস্থলী ও পরিপাকতন্ত্রও এক থেকে দুই দিনের জন্য কিছুটা বিশ্রাম পাবে।
সবুজ শাকসবজি খেলে আপনার শরীরের অনেক উপকার হয়। যার মধ্যে একটি হল শরীরের ডিটক্সিফিকেশন। আপনি সবুজ শাকসবজি থেকে স্মুদি এবং স্যালাডের মতো কিছু খাবার তৈরি করতে পারেন। পালং শাক, কালে, লেটুস, শসা ব্যবহার করতে পারেন এবং গাজর, বিটরুট ইত্যাদিও দিয়ে স্যালাড বানিয়ে নিন। পারলে স্মুদি বানিয়ে নিন। এবার এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ পানীয়টি পান করুন। এতে আপনার শরীর ডিটক্স হবে।