ভারতের ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির কর্তব্যপথে আজ অনুষ্ঠিত হল দেশের সামরিক শক্তি ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রদর্শনী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং ২১ তোপধ্বনির সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীতের সুরে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবো সুবিয়ান্তো।
সামরিক কুচকাওয়াজে ভারতের অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়। পিনাকা রকেট সিস্টেম, আকাশ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ব্রহ্মস মিসাইল এবং প্রথমবারের মতো প্রলয় মিসাইল রাজপথে প্রদর্শিত হয়। ৫০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ব্যালিস্টিক মিসাইলটি সীমান্তে শত্রুর আক্রমণ প্রতিরোধে মোতায়েন। এছাড়া, ডিআরডিও-র তৈরি নজরদারি সিস্টেম ‘রক্ষাকবচ’ও প্রদর্শিত হয়।
ভারতীয় নৌবাহিনী, বায়ুসেনা এবং স্থলসেনার যৌথ ট্যাবলো কর্তব্যপথে ভারতের সামরিক শক্তির পরিচয় করায়। সেনার টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক এবং বিভিন্ন রেজিমেন্টের কুচকাওয়াজও ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ফ্লাইপাস্ট করে বায়ুসেনার মিগ-২৯।
এবারের কুচকাওয়াজে অংশ নেয় ইন্দোনেশিয়া সেনার ১৫২ জন সদস্য এবং তাদের মিলিটারি ব্যান্ডের ১৯০ জন। কেন্দ্রীয় দফতর এবং বিভিন্ন রাজ্যের ট্যাবলোয় ভারতের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের রূপও তুলে ধরা হয়।
প্রায় ১০ হাজার আমন্ত্রিত অতিথি এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানের সাক্ষী হন। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং রাষ্ট্রপতি মুর্মু বাগি-তে করে কর্তব্যপথে আসেন। ভারতীয় প্রতিরক্ষা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এই প্রদর্শনী আত্মনির্ভর ভারতের প্রতিশ্রুতি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দৃঢ়তাকেও প্রতিফলিত করে।