যে কোনও দেশের নিরাপত্তার জন্য বায়ু শক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমান রয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার। এর মধ্যে রয়েছে দেশীয় তেজস থেকে ফ্রান্সের রাফালে। ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ. পি. সিং যখন ন্যাশনাল ফ্লাইট টেস্ট সেন্টারে প্রজেক্ট ডাইরেক্ট (ফ্লাইট টেস্ট) ছিলেন, তিনি তেজসের ফ্লাইট টেস্টিং দেখাশোনা করতেন। বর্তমানে যুদ্ধবিমানের ৩১টি স্কোয়াড্রন রয়েছে বায়ুসেনার কাছে।
৬ স্কোয়াড্রন জাগুয়ার
বিমান বাহিনীর কাছে জাগুয়ার ফাইটার জেটের ৬টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। এই যুদ্ধবিমান তৈরিতে অংশীদারিত্ব করেছিল ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। এর উচ্চ উইং লোডিং ডিজাইনের কারণে, কম উচ্চতায় স্থিরভাবে উড়তে পারে এই বিমান। এটি ঘণ্টায় ১৭০০ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে এবং এটি একটি টুইন ইঞ্জিনের বিমান।
৩স্কোয়াড্রন মিরাজ
বর্তমানে বিমান বাহিনীর কাছে মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানের ৩টি স্কোয়াড্রন রয়েছে। এটি তৈরি করেছে ফ্রান্সের ডাসাল্ট এভিয়েশন কোম্পানি। একই কোম্পানি রাফালে যুদ্ধবিমানও তৈরি করেছে। মিরাজের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২০০০ কিলোমিটার। এটি একটি ডাবল ইঞ্জিন ফাইটার জেট। কার্গিল যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল মিরাজ-২০০০। এটি একটি মাল্টিরোল ফাইটার জেট।
মিগ-২৯ এর ৩টি স্কোয়াড্রন
মি-২৯ একটি মাল্টিরোল ফাইটার জেট। এর সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২৪০০ কিলোমিটার। অস্ত্র বহনের জন্য মোট ৭টি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে। কারগিল যুদ্ধের সময়ও মিগ-২৯ তার সক্ষমতা প্রমাণ করেছিল।
১৩ স্কোয়াড্রন সুখোই
সুখোই-৩০ একটি মাল্টিরোল ফাইটার জেটও। এটিও একটি টুইন ইঞ্জিন ফাইটার জেট। এর মাধ্যমে সুপারসনিক মিসাইল ব্রহ্মোসও উৎক্ষেপণ করা যাবে। এটি ঘণ্টায় ২১২০ কিলোমিটার বেগে উড়তে পারে। ৫৭ হাজার ফুট উচ্চতায় পৌঁছতে পারে সুখোই-৩০ ফাইটার জেট।
২স্কোয়াড্রন মিগ-২১ বাইসন
এই বছরের শেষ নাগাদ মিগ-২১ বাইসন-এর স্কোয়াড্রন পর্যায়ক্রমে শেষ হয়ে যাবে। তবে নতুন ফাইটার জেট আসতে বিলম্ব হলে তাদের ফেজআউট বিলম্বিত হতে পারে। এটি একটি ইন্টারসেপ্টর হিসাবে ব্যবহৃত হয়। এগুলি রাশিয়ান বিমান।
২ স্কোয়াড্রন তেজস
লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ) তেজস একটি দেশীয় যুদ্ধবিমান। এটি সুপারসনিক ফাইটার জেটের ক্যাটাগরির সবচেয়ে ছোট এবং হালকা বিমান। তেজসের ৯টি হার্ড পয়েন্ট রয়েছে, এই পয়েন্টগুলিতে অস্ত্র বসানো যেতে পারে। তেজস ব্রহ্মোস মিসাইলও নিক্ষেপ করতে পারে। এটি একটি একক ইঞ্জিনé জেট।
রাফালের ২স্কোয়াড্রন
এটি ফ্রান্সের Dassault কোম্পানি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে এবং এটি একটি ৪.৫ প্রজন্মের বিমান। টুইন ইঞ্জিন রাফালে একটি মাল্টিরোল ফাইটার। এটি বহু উচ্চ উচ্চতা অঞ্চল থেকেও তার পূর্ণ ক্ষমতায় উড়তে পারে।