মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান ঘিরে নেমে এল মহা বিপর্যয়। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারালেন ৩০ জন, আহত অন্তত ৬০। মঙ্গলবার রাতে মৌনী অমাবস্যার স্নানের জন্য বিপুল ভিড় জমে ত্রিবেণী সঙ্গম ঘাটে। রাত ১টার পর পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। ঠেলাঠেলি, ধাক্কাধাক্কির মধ্যে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন বহু মানুষ।
ঘটনার ১৭ ঘণ্টা পর হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। মৃতদের পরিবারপিছু ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হর্ষকুমার, প্রাক্তন ডিজিপি ভিকে গুপ্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত IAS অফিসার ডিকে সিংহের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও কর্নাটক, অসম, গুজরাত ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রয়েছেন মৃতদের তালিকায়। বাকিদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত পঞ্চমীতে আরও এক অমৃত স্নান অনুষ্ঠিত হবে। সেই উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তবে প্রশ্ন উঠছে, এত বড় ধর্মীয় সমাবেশে কেন যথাযথ ব্যবস্থাপনা করা হলো না? কেন এত মানুষের জীবন বিপন্ন হলো? তদন্তের পরই সামনে আসবে উত্তর।