চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উইকেটরক্ষক কে হবেন? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থের মধ্যে জোরদার টক্কর। এবার এই বিষয়ে খোলাখুলি উত্তর দিলেন রোহিত শর্মা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত এবং ইংল্যান্ডের মধ্যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে রাজকোটে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতির দৃষ্টিকোণ থেকে এই সিরিজটি ভারতীয় দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে, টিম ইন্ডিয়া এই তিনটি ম্যাচে তাদের সেরা প্লেয়িং ১১ জনকে মাঠে নামানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু দলে উইকেটরক্ষক হিসেবে কোন খেলোয়াড় খেলবেন তা নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি।
উইকেটরক্ষকের জায়গা দখলের জন্য ঋষভ পন্থ এবং কেএল রাহুলের মধ্যে শুরু হয়েছে জোরদার প্রতিযোগিতা। এই দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে কাকে সুযোগ দেওয়া হবে, তা নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ শুরুর আগে, রোহিত প্লেয়িং ১১ সম্পর্কে কিছু বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন ক্যাপ্টেন। রোহিত একদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওয়ানডে ফরম্যাটে দলের উইকেটরক্ষক হিসেবে কেএল রাহুল এবং ঋষভ পন্থের মধ্যে কাউকে বেছে নেওয়া মাথাব্যথার কারণ হবে। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, পন্থ সম্ভবত তাঁর ভূমিকা ধরে রাখবেন। ২০২৩ বিশ্বকাপে পন্থের অনুপস্থিতিতে রাহুল উইকেটরক্ষক ছিলেন এবং দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন।
রোহিত বলেন, “রাহুল গত বেশ কয়েক বছর ধরে ওয়ানডে ফর্ম্যাটে আমাদের হয়ে উইকেটকিপিং করছেন এবং তিনি খুব ভালো পারফর্ম করেছেন।” যদি শেষ ১০-১৫টি ওয়ানডে ম্যাচের দিকে লক্ষ্য রাখা হয়, তাহলে দেখা যাবে দল তাঁর কাছ থেকে যা আশা করেছিল, সে তাই করেছে। তিনি বললেন, “ঋষভও উপস্থিত আছেন। আমাদের কাছে তাদের যেকোনো একজনকে কাজে লাগানোর বিকল্প আছে। দুজনেরই নিজেরাই ম্যাচ জেতার ক্ষমতা রয়েছে। রাহুল এবং ঋষভের মধ্যে কাকে খেলানো হবে তা নিয়ে বড় মাথাব্যথা হবে। কিন্তু অতীতের পারফরম্যান্সের দিকে তাকালে, ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
রোহিত শর্মাকে তাঁর খারাপ ফর্ম নিয়ে প্রশ্ন করলে বিরক্ত হন রোহিত। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, একজন খেলোয়াড়ের ক্যারিয়ারে উত্থান-পতন থাকে এবং তিনি এর আগেও অনেক কিছু দেখেছেন। রোহিত বলল, “এটা কেমন প্রশ্ন? এটা আলাদা সময় এবং আলাদা ফর্ম্যাট। ক্রিকেটার হিসেবে আমরা জানি উত্থান-পতন থাকবেই। এটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। প্রতিটি দিনই নতুন, প্রতিটি সিরিজই একটি নতুন সিরিজ।”