২৭ বছর পর ঐতিহাসিক দিল্লি বিজয় বিজেপির! কেজরিওয়ালের প্রতিশ্রুতিকে ধুলিস্যাৎ করে দিয়ে গেরুয়া ঝড় রাজধানী জুড়ে। এই জয়ের ফলে কি সিঁদুরে মেঘের ইঙ্গিত পাচ্ছে বাংলার শাসকদল। মোদি গ্যারান্টিতেই শেষমেশ ভরসা রাখলেন রাজধানীর বাসিন্দারা। বাংলার জনগণ কি কখনোও মোদি গ্যারান্টিতে ভরসা রাখবে? রাজধানীর বুকে উড়ল গেরুয়া পতাকা, একই দিন দেখবে নাকি বাংলা?
গেরুয়া শিবির দিল্লি জিততেই যেন অতিরিক্ত অক্সিজেন লাভ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। দিল্লিতে বিজেপির বিপুল জয়কে হাতিয়ার করে বাংলায় তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি এই রাজ্যের ক্ষমতায় এলে এই সরকারের তুলনায় বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার আর্থিক অনুদান আরোও বেশি দেওয়ার কথা জানান শুভেন্দু।
শুধু শুভেন্দু নয়, অতিরিক্ত প্রাণের সঞ্চার হল বাংলার গেরুয়া শিবিরে। সেই কারণেই দিল্লি জয়ের পর বিজেপির কলকাতা দফতরে উৎসবের ছবি দেখা গিয়েছে। বিজেপিরাজ যাতে এরাজ্যেও কায়েম হয়, আপাতত সেই চেষ্টাতেই উঠেপড়ে লাগবে বিজেপি নেতৃত্ব! ২০২৬-এ বাংলায়ও বদল হবে। বিজেপির স্বপ্ন তৃণমূলকে সরিয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে গেরুয়া শিবির। এই ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু অধিকারী-সুকান্ত মজুমদার।
কিন্তু সত্যিই কি এমন দিন দেখতে হবে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে? বিজেপির স্বপ্ন যে পূরণ হবে না, সেকথা জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর সাফ কথা, দিল্লির ভোটের ফলাফলের ওপর বাংলার ভোটের ফলাফল নির্ভর করে না।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে শুরু, এখনো এরাজ্যে বিজেপি সেভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে পারেনি। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচুর সংখ্যক জনকল্যাণমুখী প্রকল্প রয়েছে, যার দৌলতে আজ বহু মানুষ উপকৃত। সেদিকে লক্ষ্য রেখে মানুষ বছর বছর ভোট দেয় তৃণমূলকে। তাই আপাতত দিল্লির ভোটের ফলাফলের সঙ্গে বাংলার ভোটের ফলাফল গুলিয়ে ফেললে চলবে না।