নয়াদিল্লি স্টেশনে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনার আট দিন পর রবিবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে পৌঁছলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিপুল ভিড় সামলানোর জন্য রেলের কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা খতিয়ে দেখেন তিনি। প্রসঙ্গত, ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে পদপিষ্ট হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু হয়। এত বড় দুর্ঘটনার পরেও ঘটনাস্থলে রেলমন্ত্রী না যাওয়ায় সমালোচনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে, এক সপ্তাহ পর স্টেশনে গিয়ে তিনি ঠিক কী বার্তা দিতে চাইলেন, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।
রবিবার সন্ধ্যায় রেলভবনে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন বৈষ্ণব। রেলের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ‘ওয়ার রুম’ থেকে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। এরপর, নিজেই স্টেশনে গিয়ে পুরো ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন।
স্টেশনে পৌঁছে তিনি প্রথমেই দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখেন। ১৪, ১৫ এবং ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মের অবস্থা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। এই মুহূর্তে ১৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকেই প্রয়াগরাজগামী কুম্ভ স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে, ফলে ওই এলাকায় ভিড় নিয়ন্ত্রণের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করেন রেলমন্ত্রী।
পরিদর্শনের পর বৈষ্ণব জানান, রেল ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এখন থেকে টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। যাদের কাছে টিকিট নেই, তাদের প্রথমে হোল্ডিং এরিয়ায় পাঠানো হচ্ছে। সেখানেই অনির্দিষ্ট টিকিট কেনার সুযোগ রয়েছে। টিকিট সংগ্রহের পর যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন।
রেলমন্ত্রীর এই পরিদর্শনকে কেন্দ্র করে আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। প্রশ্ন উঠছে, এতদিন পরে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি কী বার্তা দিতে চাইলেন? দুর্ঘটনার আগে যদি এই পদক্ষেপ নেওয়া হতো, তাহলে কি এত প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব ছিল?
Leave a comment
Leave a comment