কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলল জেলা প্রশাসন। মথুরাপাহাড়ি, চাঁদা,সহ বিভিন্ন এলাকার আদিবাসীদের (জমি দাতাদের) সাহায্য নিয়ে চরকা তুলে দিল। শুরু হল কাজ। শুরু হয়েছে এয়ারটেলের ইন্টারনেট পরিষেবাও। বাকী ইন্টারনেট পরিষেবাও শুরুর দিকে। জমিদাতা আদিবাসীদের দাবি,‘ আমরা স্বেচ্ছায় জমি দিয়েছি,কাজ হচ্ছে আমাদের জায়গায়। তোরা কেন কাজ বন্ধ করছিস। তোরা বাইরের।’ এছাড়াও এই মহিলাদের মধ্যে সাগরবাঁদির হলেও বেশ কিছু মহিলা বাইরের, সম্ভবত ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বলে জানা গেছে।এলাকার মাঝি, মোড়লদের সাথে কথা বলেই এই সমস্যার সমাধান করা হলো। ভুল বুঝিয়েও লাভ হলো না। ঘোলা জলে মাছ ধরতে গিয়ে নিজেরাই বেকায়দায় পড়ে গেলেন বিক্ষোভরত আদিবাসী মহিলারা। ইচ্ছুক আদিবাসীদের সাহায্য নিয়েই, অনিচ্ছুক আদিবাসী মহিলাদের বিক্ষোভে ইতি টানল বীরভূম জেলা প্রশাসন। লক্ষ্মী বারের সকালেই জেলা প্রশাসনের কর্তারা এলাকার আদিবাসী সমাজের মাঝি- মোড়লদের সাথে আলোচনা করে জমিদাতা আদিবাসীদের সাথে কথা বলেই চরকা তুলে দেয়। ফলে আগামী কাল থেকেই ফের কয়লা শিল্পের কাজ শুরু হতে চলেছে। শুরু হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তবে জেলা প্রশাসন কিছুটা সাবধানে পা ফেলতে চাইছে।কারণ,বিক্ষোভরত আদিবাসী মহিলাদের মধ্যে বেশ কিছু মহিলা বাইরের। পুলিশ, প্রশাসনের ধারণা,এরা পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড থেকে এসেছে।
উল্লেখ্য দেউচা পাঁচামির এই প্রকল্প নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে অনেকেই। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণ সংগঠন। সিঙ্গুর নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন এর সময় যেমন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সেই আন্দোলনে অংশ নেন। আর তাতেই এই দুই জায়গার আন্দোলন জোরদার ভাবেই শুরু হয়। তৎকালীন বাম সরকার এর মূখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বেকায়দায় পড়ে যান। এই জমি অধিগ্রহণ আন্দোলন এর জেরে। উল্লেখ্য ঠিক সেই পুরোনো ক্ষতকে মনে রেখেই বাম ও বিজেপি কিছুটা এক হয়ে এই প্রকল্পে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও সেটা সফল হলো না। জেলা প্রশাসন ঠাণ্ডা মাথায় মোকাবিলা করলো এই অচলাবস্থার। যার ফলে কাল থেকেই আবার কাজ শুরু মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পের।
Leave a comment
Leave a comment