চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বুধবার চতুর্দশ ন্যাশনাল কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশনে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে সামরিক খাতে ৭.২ শতাংশ ব্যয়বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছেন। এর মাধ্যমে আগামী বছরে লাল ফৌজের পিছনে মোট ২৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলার বা প্রায় ২১ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে চলেছে চীন। গত বছরও এমন একই পরিমাণ সামরিক ব্যয়বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছিল।
বিশ্বের শক্তিশালী সামরিক শক্তির তালিকায় চীন আমেরিকার পরেই অবস্থান করছে। তবে, গত কয়েক বছরে চীনের সামরিক ব্যয়ে ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখাচ্ছে, যা অনেকেই আমেরিকার ক্ষমতার সঙ্গে তুলনা করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, শি জিনপিংয়ের সামরিক খাতে এত বিপুল ব্যয় বাড়ানোর পেছনে শুধুমাত্র সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নয়, বরং আন্তর্জাতিক রাজনীতির চাপের কারণও রয়েছে।
তাইওয়ান, ভারতের সঙ্গে লাদাখ সীমান্ত সমস্যার মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক অস্থিরতার কারণে চীন তার সামরিক শক্তি আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে। শি জিনপিংয়ের সরকার বারবার তাইওয়ানকে হুমকি দিয়ে আসছে এবং লাদাখ সীমান্তেও উত্তেজনা চলছে।
বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলোর কাছে চীনের এই ব্যয়বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি কেবল দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে তার প্রভাব আরও সুদৃঢ় করার জন্যও।
এমন পরিস্থিতিতে, সামরিক খাতে চীনের এহেন বিপুল ব্যয়বৃদ্ধি আন্তর্জাতিক অস্থিরতা এবং বিশ্ব শান্তির জন্য বড় একটি সংকেত হতে পারে।