বলিউডের দুই মহাতারকা শাহরুখ খান ও সলমন খানকে নিয়ে সম্প্রতি এক জ্যোতিষীর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছে গোটা বিনোদন জগত। জনপ্রিয় জ্যোতিষী সুশীল কুমার সিং এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন যে, শাহরুখ এবং সলমনের জীবন শেষ হবে একই বছরে, এবং তারা মাত্র ৬৭ বছর বয়সেই পৃথিবী ছাড়বেন! এই ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে ভক্তদের মধ্যে।
সুশীল কুমার সিং-এর মতে, সলমন খানের বর্তমান সময় একেবারেই ভালো যাচ্ছে না। ২০২৫ সাল থেকে তার ভাগ্যে আরও বড় ধাক্কা আসতে চলেছে এবং ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে তিনি কঠিন রোগে আক্রান্ত হবেন বলে তিনি দাবি করেছেন। তিনি আরও জানান, এই অসুখ অত্যন্ত জটিল ও যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে এবং এটি ধরা পড়ার পর সলমনকে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে।
অন্যদিকে, শাহরুখ খানের ভাগ্যে এখনই কোনো বড় বিপদ নেই বলে জানিয়েছেন এই জ্যোতিষী। তবে তিনি জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিচার করে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনেন—শাহরুখ ও সলমনের কোষ্ঠীতে এক বিশেষ মিল রয়েছে, যা ইঙ্গিত দেয় যে তারা একই বছরে মৃত্যুবরণ করবেন!
এই বিস্ফোরক ভবিষ্যদ্বাণী প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বলিউডের অনুরাগীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। শাহরুখ ও সলমন, দুজনেরই কোটি কোটি ভক্ত রয়েছেন, যারা এই খবর শুনে হতবাক হয়ে গেছেন। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন, একজন জ্যোতিষী কীভাবে এত স্পষ্টভাবে কারও মৃত্যুর ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেন?
বহু নেটিজেন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই ভবিষ্যদ্বাণীকে “অনৈতিক” বলে কটাক্ষ করেছেন। তাদের মতে, জ্যোতিষ শাস্ত্রে কারও মৃত্যুর দিন গণনা করে তা প্রকাশ্যে বলা উচিত নয়। অনেকেই দাবি করছেন, এটি শুধুমাত্র প্রচারের জন্য বলা হয়েছে, এবং বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। জ্যোতিষ শাস্ত্রে জন্মপত্রিকা বা কোষ্ঠী বিচার করে একজনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কিছু ইঙ্গিত পাওয়া গেলেও, নির্দিষ্ট দিন-তারিখ বলা সম্ভব নয়। অনেক জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ বলছেন, সুশীল কুমার সিং-এর এই মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং শুধুমাত্র আলোচনার কেন্দ্রে আসার জন্য করা হয়েছে।
এই খবর নিয়ে শাহরুখ বা সলমন এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেননি। সাধারণত এই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণীতে তারা বিশ্বাস করেন না, এবং অতীতেও তারা অনেকবার এই ধরনের গুজবের শিকার হয়েছেন। তবে বলিউডের এই দুই মহাতারকা এখনো কাজ করে চলেছেন পুরো উদ্যমে। শাহরুখ সম্প্রতি একাধিক ব্লকবাস্টার সিনেমা উপহার দিয়েছেন, আর সলমনও নতুন প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই ভবিষ্যতে কী হবে, তা সময়ই বলবে!